পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 888 ) তিনি তখন ঐশ্বৰ্য্যে উজ্জ্বল এবং নানাপ্রকার উৎসবপূর্ণ স্থখময় নাগভবনে দুঃখাষ্ট্রের রোদনধ্বনি শ্রবণ করিলেন। ৩১ । স্বভাবতঃ সদয়হৃদয় রাজকুমার সেই রোদনধ্বনি শ্রবণ করিয়া অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হইলেন এবং সম্মুখে নাগকস্তাকে দেখিয় জিজ্ঞাসা করিলেন,—কি জন্য রোদনধ্বনি হইতেছে । ৩২ ৷ তখন নাগকন্যা হৃদয়াসক্ত শোকোয়ার সূচক দীর্ঘনিশ্বাসদ্বারা অধরকান্তি স্নান করিয়া তাহাকে বলিল ৷ ৩৩ ৷ গুণবান, কমললোচন, জনপ্রিয় নাগরাজের জ্যেষ্ঠ পুত্র সর্বাৰসিদ্ধ পঞ্চস্ব প্রাপ্ত হইয়াছেন । ৩৪ ৷ এজন্য স্থখোৎসব নিবৃত্ত হইয়াছে এবং চতুর্দিক রোদনধ্বনিতে পরিব্যাপ্ত হইতেছে । ৩৫ ৷ তিনি নাগকন্যার এইরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়া স্বদেশদর্শনে উৎফুল্লহৃদয় হইয়া নাগরাজের নিকট গেলেন। ৩৬ । নাগরাজ তাহাকে আসিতে দেখিয়াই চিনিতে পারিলেন এবং প্রিয়ার সহিত “এস পুত্ৰ ! এস,” এই কথা বলিয়া আনন্দে বিহবল হইলেন । ৩৭ ৷ কি জন্য মৰ্ত্তলোকে জন্মগ্রহণ হইয়াছে এবং এখানে আগমনের কারণ কি, নাগরাজ এই সকল কথা তাহার মুখে অবগত হইয়া র্তাহাকে আলিঙ্গন করিয়া বলিলেন । ৩৮ । হে পুত্ৰ ! এই চিন্তামণিটি আমার মস্তকের ভূষণ। ইহা তুমি গ্রহণ কর । আমি তোমার সঙ্কল্প ভঙ্গ করিতে ইচ্ছা করি R1 | రిసె ! তুমি জগতের উপকার-কাৰ্য্য সমাধা করিয়া পুনরায় মণিটি আমায় প্রত্যপণ করিবে । নাগরাজ এই কথা বলিয়া নিজ মস্তকস্থিত দিব্য চুড়ারত্নটি উন্মোচন করিয়া কুমারকে দিলেন। ৪০ ৷ e