পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 9-8 ) ভগবান সুখস্তৃতিবশতঃ লজ্জিত শ্রোণকোটিকে আহবান করিয়া হাস্যসহকারে বলিয়াছিলেন যে তুমি সংলীনচেতা: হইলেও তোমার এরূপ সুখচিন্তা হইল কেন। ৪৯ । বাণার তন্ত্রী বিশ্লিষ্ট বা অত্যন্ত কৃষ্ট হইলে উহা বিস্বর হয়, কিন্তু সমান হইলেই মধুরস্বর হয়। অতএব সাম্য আশ্রয় করা উচিত। ৫০ । ভগবানের এইরূপ আদেশে শ্রোণকোটি সর্বপ্রাণীতে সাম্যভাব প্রাপ্ত হইয়া এবং অমুতাপবজিত হইয়া বিমলজান লাভ করিয়াছিলেন। ৫১ ৷ শ্রোণকোটির এইরূপ অদ্ভুত সিদ্ধিলাভ দেখিয়া অত্যন্ত বিস্মিত ভিক্ষুগণ ভগবানকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলিয়াছিলেন। ৫২ ৷ শ্রোণের জন্মান্তরাজিত পুণ্যকৰ্ম্মের কথা শ্রবণ কর। পুণ্যহীন জনের কখনই অদ্ভুত সম্পদ লাভ হয় না। ৫৩ ৷ পুরাকালে ভগবান সম্যকসংবুদ্ধ বিপশীনামক স্বগত পরিক্রমণচছলে বন্ধুমতী নগরীতে গমন করিয়াছিলেন। ৫৪ ৷ তত্ৰত্য পুণ্যবান জনগণ ভক্তিসহকারে তাহাকে ভোজনের জন্য নিমন্ত্রণ করিয়াছিল। তিনিও অনুচরগণসহ বারক্রমে তাহাদের গৃহে গিয়াছিলেন । ৫৫ ৷ তৎপরে ইন্দ্রসোম-নামক একট দরিদ্র ব্রাহ্মণসন্তান বারপ্রাপ্ত হইয়া যত্ব সহকারে তাহার যোগ্য ভোজন আয়োজন করিয়াছিলেন। ৫৬ তিনি মহাপ্রযত্নে বস্ত্রদ্বারা পৃথিবী আচ্ছাদন করিয়া বিনীতভাবে ভক্তিদ্বারা পবিত্রিত ভোজ্য তাহাকে নিবেদন করিয়াছিলেন । ৫৭ ৷ সেই দরিদ্র ব্রাহ্মণই ভোগে প্রণিধান করায় এখন মহাধনবান ও সুবর্ণ-রোমাঙ্কিতচরণ দেবতুল্য শ্রোণকোটিরূপে জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন। ৫৮।