পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७२२ ! ইহার শৃঙ্গ প্রবালময় ছিল এবং চৰ্ম্ম যেন বিচিত্র রত্বে সজ্জিত ছিল । অধিক কি, ইহার কান্তি যেন আশ্চর্য্যসাগরের একট লহরীস্বরূপ ছিল ৷ ৭ ৷ বোধিসত্ত্বাবতার এই মৃগটার দেহ অত্যন্ত কমনীয় ছিল । সৌন্দৰ্য্যই স্বকৃতরূপ চিত্রের পূর্বলক্ষণ হইয়া থাকে। ৮। দীর্ঘদৃষ্টি নামে একটা বৃদ্ধ বায়স ইহার মিত্র ছিল। এই বায়স লুব্ধকগণের মৃগান্বেষণকালে দিক বিলোকন করিত। ৯। ইহারা দুইজনে পরস্পর প্রতিবশতঃ মিষ্টালাপ দ্বারা সুখে বিজনে বাস করিত। পূর্বপুণ্যবলে পশুপক্ষিগণেরও মনুষ্যের ন্যায় বাকশক্তি হয় । ১০ । একদা মৃগদলপতি জলান্বেষণার্থে অনুচরগণের সহিত বেণুমালিনী নামক নদীর তটে গিয়াছিল । ১১ । তথায় তারস্বরে ক্রনদনধবনি শ্রবণ করিয়া হরিণগণ ভয়বশতঃ গ্রীবা বক্র করিয়া পলায়ন করিয়াছিল । ১২। কিন্তু সুবর্ণপাশ্ব তখন কৃপাপাশে বদ্ধ হইয় ইষুবিদ্ধবৎ নিশ্চলভাবে সেই স্থানেই বর্তমান ছিলেন । ১৩ । দীর্ঘদৃষ্টি কাক সুবর্ণপাশ্বকে তাহার উদ্ধারের জন্য বদ্ধপরিকর দেখিয়া বলিয়াছিল—সখে ! তোমার এরূপ উদ্যম ভাল নহে । ১৪ । খলগণ যখন তাহাদের বিপদ উপস্থিত হয়, তখন পুষ্পবৎ কোমল হয় এবং কুতকার্য্য হইলে বজবৎ কঠিন হয় । ইহারা নিজ দেহেরই সুহৃদ। উপকার স্বীকার করে না। ১৫ । সরলস্বভাব হরিণ কাককর্তৃক এইরূপ নিবারিত হইয়াও কৃপাবশতঃ নদীতে অবতীর্ণ হইয়া বিপন্নকে উদ্ধার করিয়াছিল। ১৬ । হরিণ নিজ শৃঙ্গদ্বারা অশঙ্কিতভাবে তাহার বন্ধন মোচন করিয়াছিল এবং সে যখন প্রণাম করিয়া যাইতেছিল, তখন তাহাকে বলিয়া