পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిరి. ] ছিল। যথাক্রমে তাহারা স্বয়ম্বর-সভায় উপবিষ্ট হইলে, রত্নশিৰিকায় আরোহণপূর্বক মনোরম স্বয়ম্বরসভায় যাইতেছিলেন । ৪৯-৫০ । চঞ্চলনয়ন মনোরমা ক্রমে ক্রমে রাজগণকে দেখিতে দেখিতে যদুচ্ছক্রমে তথায় সমাগত রাজপুত্র কল্যাণকারীকে দেখিতে পাইলেন । ৫১ ৷ কল্যাণকারী অন্ধ হইলেও সহসা রাজকন্যার নয়নের প্রিয় হইয়া পড়িলেন । গ্ৰহগণমধ্যে বৰ্ত্তমান চন্দ্র মেঘাচ্ছন্ন হইলেও কুমুদিনীর প্রিয় হয় । ৫২ ৷ রাজগণ বিফলাগমনহেতু লজ্জিত হইয়া ফিরিয়া গেলে, রাজকন্য। গুণহীন কল্যাণকারীকেই বরণ করিলেন । ৫৩ ৷ & আয়তলোচনা রাজকন্যা কল্যাণকারীর কণে) হার নিক্ষেপ করিয়া মৃদু মধুরস্বরে বলিলেন যে, আমি তোমারই অধীন। ৫৪ ৷ স্ত্রীস্বভাবে ভীত কলাণকারী বিজনে রাজকন্যাকে বলিলেন যে, তুমি বুদ্ধিহীন স্ত্রীলোক। এ কার্য্য করা তোমার উচিত হয় নাই। ৫৫ ৷ কামাভিলাষযুক্ত, পদ্মনেত্র রাজগণ থাকিতে জন্মান্ধ ও নিষ্ফলজীবন আমাকে তুমি কেন বরণ করিলে । ৫৬ ৷ চক্ষুষ্মান জনগণেরও জায়। পরপুরুষের মুখ বিলোকন করিয়া থাকে । অন্ধের পত্নী ত দিবাভাগেই অন্ত্যের নিকট তাভিসার করিবে । ৫৭ ৷ স্ত্রীলোকে আমার প্রয়োজন নাই । স্ত্রালোকের প্রতি আমার বিশ্বাস নাই। নদীগণ যেরূপ তটকে নিপাতিত করে, কুটিল-স্বভাব স্ত্রীগণ তদ্রুপ কুলকে নিপাতিত করে । ৫৮ ৷ কল্যাণকারা এইরূপ বলিলে রাজকন্য। লজ্জিত হইলেন এবং ৰলিলেন, নাথ ! সমস্ত স্ত্রীলোকের প্রতি শঙ্কা করা উচিত নহে। ৫৯ ৷ যদিও আপনি কোন নারীর দোষ দেখিয় শঙ্কিত হইয়া থাকেন, তাহা হইলেও নির্দোম স্ত্রাকেও কেন সেই দোষে দোষী করিতেছেন। ৬০ ৷