পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোম্বাই চিত্ৰ । ( . به লতে আসিয়া কষ্ট ভোগ-তার পর নিজ পক্ষ সমর্থনের জন্য প্ৰমাণ সংগ্ৰহ করা সেও তাহার পক্ষে সহজ নহে। এই সকল কারণে বুঝিতে পারা যায়। মকদ্দমার সময় কেন প্ৰতিবাদিগণ প্রায়ই অনুপস্থিত থাকে। নথি অনুসন্ধান করিলে দেখা যাইবে যে শতকরা ৯০ মকদ্দমা রায়তের অবর্তমানেই নিম্পত্তি হইয়া থাকে। আর এই সকল ধার কর্জের মামলায় শতের একটাতে যদি রায়তে জয়লাভ করিতে পারে তাহাই ঢের অর্থাৎ একশতের মধ্যে এক জন রায়ত যদি মহাজনের ষড়চক্রের বিরুদ্ধে জয়লাভে সমর্থ হয় তবে তার ভাগ্য বলিতে হইবে। এ অতি ভয়ানক কথা । ফৌজদারী মকদ্দমায় এ অপেক্ষা সুবিচারের সম্ভাবনা। যদি চুরির অভিযোগ আনিয়া কাহারে বিরুদ্ধে নালিশ করা যায়। সে হয়ত দুই এক মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইতে পারে, কিন্তু সে বিচারের সময় স্বয়ং উপস্থিত থাকিয়া সাক্ষীদের জেরা করিতে পারে, শত্রুর অভিযোগ খণ্ডন করিতে পারে—আপনার নির্দোষিত সপ্ৰমাণ করিতে সমর্থ হয় । মকদ্দমার ব্যয়বাহুল্য হেতু যে রায়তের অনেক সময় মাকদমা চালাইতে অক্ষম হইয়া মিথ্যাবাদী বাদীর নিকটেও পরাভূত হয় তাহ রায়তা কমিসনরগণ স্বীকার করিয়াছেন। তঁহারা বলেন যে মকদ্দমার ব্যয়াধিক্য গরীব রায়তদের পক্ষে গুরুভার-জনক। এই ব্যয় যদি মকদ্দমার ন্যায্য খরচার অধিক ন হইত। তবে কিছু বলিবার থাকিত না। কিন্তু দেখিতে গেলে ষ্টাম্প ও কোর্ট ফী হইতে যে রাজস্ব উৎপন্ন হয় তাহা হইতে