পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cवांचांझे ब्रांग्रड । - RNS পঠিত ও স্বাক্ষরিত হয়। এইরূপ কোন নিয়ম প্রচলিত হইলে কেবল যে রাইয়াতের লাভ তাহা নহে। কিন্তু অনেক সময় সদাশয় মহাজনেরও তাহা কাৰ্য্যকর হইতে পারে। অনেক মকদ্দমায় এইরূপ দেখা যায় যে, যে সকল খাত সত্য সত্যই লিখিয়া দেওয়া হইয়াছে। ঋণী তাহ অস্বীকার করে ও গ্রামস্থ লোকদিগকে আপনার পক্ষে ডাকিয় তাহ লিখিত ও স্বাক্ষরিত হয় নাই ইহা আদালতে প্ৰমাণ করিবার চেষ্টা পায়। উল্লিখিত প্ৰণালী অবলম্বিত হইলে এইরূপ মিথ্যা শপথের পথ অবরুদ্ধ হয়। কোন পক্ষ সত্য তাহা আপীলে নিৰ্ণয় করা অত্যন্ত কঠিন-কারণ প্রথম কোর্টের জজ সাক্ষীদের ভাব ভক্তি দেখিয়া তাহদের সাক্ষ্যের সত্যাসত্য কতকটা নিরূপণ করিতে সক্ষম হয়েন—আপীল কোর্টে সুকৌশল-গ্রথিত শিক্ষিত সাক্ষীদলের অসত্যজাল আবিষ্কৃত হওয়া সহজ নহে। অনেক সময় এইরূপ ঘটে যে ঋণী খাত লিখিয়া দিবার সময় নাবালক ও আপনার হিতাহিত বোধে অসমৰ্থ, খাতের মৰ্ম্ম সে কিছুই বুঝে না, তথাপি ছলবল কৌশলে তদুপরি তাহার নাম স্বাক্ষরিত হয়। যখন সেই খাতের দাবীতে মকদ্দমা উপস্থিত হয় তখন ঋণী অজ্ঞান আলস্য ভয় নিরাশা বশতঃ বিচারালয় হইতে দূর থাকে, সুতরাং আবৰ্ত্তমানে তাহার বিরুদ্ধে ডিক্ৰী হইয়া যায়, করারের প্রকৃত স্বরূপ প্রচ্ছন্ন থাকে। যদি কোন নিযুক্ত কৰ্ম্মচারীর সমক্ষে তমসুক লিখিয়া দিবার নিয়ম প্ৰবৰ্ত্তিত হয় তাহা হইলে নাবালকের উপর এরূপ অত্যাচার স্থান পায়।