পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cवांबाई ब्रांड । ܠ ܓ প্ৰচলিত নিয়মানুসারে মারওয়াড়ীর অনুগ্রহের উপর রাইয়তের সকল নির্ভর । মারওয়াড়ীর হস্তেই খত রক্ষিত হয়, রাইয়াত তাহ পরীক্ষা করিয়া দেখিবার অবসর পায় না। মারওয়াড়ী আপনি ইচ্ছামত হিসাব প্ৰস্তুত করে, রাইয়াত তাহা গৃহে লইয়া গিয়া সময়মত পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে পারে না। অনেক সময় এমন দেখা গিয়াছে যে, রাইয়াত ঘোরতর কষ্টে পড়িয়া তাহার ভূমি সম্পত্তি মহাজনেব নিকট বন্দক রাখিয়াছে – অনেক বৎসর পরে তাহার অবস্থা একটু ভাল হইলে সে অথবা তাহার সন্তান সন্ততিগণ আপনাদের বন্ধক বিষয় ছাড়াইয়া লইবার জন্য যত্নশীল হয়, কিন্তু তখন মহাজন অথবা তাহার বংশজ। লোকেরা বহুল কাল ভুক্ত বিষয় ছাড়িয়া দিতে সম্মত নহে। রাইয়াত আদালতে যাইতে বাধ্য হয়। মহাজন উত্তর দেয়-“এ সম্পত্তি বাদীর নহে-ইহা ত আমাদেরই হস্তে বংশ পরম্পরা চলিয়া আসিতেছে—আমরা বন্ধকের কিছুই জানি না।” খত মহাজনেরই হস্তে রক্ষিত—বাদী সে বন্ধক কি রূপে সপ্রমাণ করিবে ? এই সকলের প্রতিবিধান করা নিতান্ত আবশ্যক। এই প্রকার অন্যায় আচরণের একটী সহজ উপায় আমাদের মনে হইতেছে। যে সকল ষ্ট্যাম্প কাগজের উপর খাত লিখিত হয়, তাহার যদি দুই ভাগ পরস্পর সংযুক্ত থাকে—মধ্যে ছিদ্রময় রেখা (যেমন চেক বহিতে সচরাচর দৃষ্ট হয়)—আর যখন তাহার এক ভাগে ত লিখিত হয় তখন যদি তাহার সারাংশ অপর ভাগে লিখিবার নিয়ম থাকে, তাহা হইলে সেই শেষোক্ত ভাগটীি খত হইতে