পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& Ry বোম্বাই চিত্ৰ। আরো জিজ্ঞাস্য এই, যখন মহাজন রাইয়াতের যথা-সর্বস্ব বিক্রয় করাইয়া তাহার ভুমি দশমাংশ মূল্যে কিনিয়া অধিকার করে, তখন তাহারা কি সেই ভুমির উন্নতি সাধনে প্ৰবৃত্ত হয় ? কৃষি কাৰ্য্যের উন্নতি সাধন, বাপী পুষ্করিণী খনন—ভূমির সারবত্তা বৰ্দ্ধন—মহাজন জমীদার কি এই সকল কাৰ্য্যে মনোযোগী হন ? তঁহাদের যত্নে কি ভূমির মূল্য বৃদ্ধি—কৃষির উন্নতি-কৃষকের শ্ৰীবৃদ্ধি সাধিত হইতে দেখা যায় ? অনেক সময় ইহার সম্পূর্ণ বিপরীত ঘটে। মহাজন সেই পুরাতন রাইয়াতকেই নিযুক্ত করেন—ভূমি ও ফসলের অবস্থা সমানই থাকে-কৃষি কাৰ্য্যের উন্নতি নাই, কেবল কৃষকের অবস্থান্তর উপলক্ষিত হয়—পূর্বে যে ব্যক্তি স্বয়ং ভূস্বামী ছিল, সে এক্ষণে মহাজনের খেড়ত হইয়া সেই ভুমি কর্ষণ করে ও আপনার শ্রমজাত সমস্ত দ্রব্য প্রভুর চরণে ঢালিয়া দেয়। এই সকল মহাজনের অর্থে পার্জনশক্তি ভিন্ন এমন আর কি শক্তি—কি ঔদাৰ্য্য—পৌরজন্যোচিত এমন কি গুণ আছে, যে তাহ দেখিয়া রাজা রাইয়াতের সর্বনাশ করিয়া তাহাদিগকে প্রশ্রয় দিতে প্ৰবৃত্ত হইবেন ? যে সকল প্রদেশে রাইয়াত ওয়ারী বন্দবস্ত প্ৰচলিত, রাজাই সেখানকার ভূস্বামী-রাজাই জমিদার। তিনি যাহাকে ইচ্ছা! ভূমিদান করিতে পারেন। তিনি যদি এরূপ নিয়ম করেন যে কোন মহাজন রাইয়াতকে তাহার স্বত্ব হইতে বঞ্চিত করিতে পরিবে না, তাহাতে কাহারো কোন কথা কহিবার অধিকার নাই। রাজা বলিতে পারেন, “আমি কোন মধ্যবৰ্ত্তী ভূস্বামী