পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোম্বাই চিত্র। د(R আমরা পঞ্চােয়ত সূত্রে মকদ্দমা নিষ্পত্তির সূচনা করিয়াছি— স্থল বিশেষে এই রূপ পঞ্চায়তে মকদ্দমা বিচারের ভার সমর্পণ করিবার সম্পূর্ণ ক্ষমতা বিচারকের হস্তে অৰ্পিত এবং বাদী প্ৰতিবাদী ইচ্ছা করিলে তাহারা আপন আপন মধ্যস্থ নিয়োগে সক্ষম। কিন্তু এই আইনের বিশেষ বিধান এই যে গবৰ্ণমেণ্টকে রায়ত মহাজনের মধ্যে কতকগুলি সন্ধিকৰ্ত্ত (Conciliators) নিযুক্ত করিতে হইবে। আদালতে মকদ্দমা উপস্থিত করিবার পূর্বে অর্থীকে সন্ধিকৰ্ত্তার নিকট যাইতে হইবে । তিনি রায়ত মহাজনের বিবাদ। আপসে মিটাইয়া দিবার সাধ্যমত চেষ্টা করিবেন। ও তাহাতে কৃতকাৰ্য্য না হইলে অর্থাঁকে আদালতে যাইবার অনুমতি দিবেন, তাহার সার্টিফিকেট ভিন্ন কোন দাওয়া আজী গ্ৰাহা হইবে না। এই পাঁচ বৎসরে যত দূর জানা গিয়াছে তাহাতে এই সন্ধি-নিয়ম হিতাবহ বলিয়া অনুভূত হয়। অনেক স্থলে সন্ধিকৰ্ত্তার সুপরামর্শে অর্থী প্ৰত্যার্থী আপসে বিবাদ মিট মাটি করিয়া মকদ্দমার অর্থ নাশ মনস্তাপ হইতে নিস্কৃতি লাভ করে। ইহাতে আমাদের প্রাচীন পঞ্চায়ৎ প্রথার গুণািস্পর্শ কিয়দংশে উপলক্ষিত হয়। রায়ত ঋণ শোধের টাকা মহাজনের কাছে আনিয়া দিলে মহাজন তাহাকে স্বতন্ত্র রসিদ অথবা পাসবহি মধ্যে রসিদ লিখিয়া দিতে ও প্ৰতিবর্ষে রায়তের হাতে তাহার দেনা পাও- * নার হিসাব দিতে বাধ্য । আদালতে মকদম উপস্থিত হইলে বিচারকের কর্তব্য