পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিন্ধু কাহিনী । SR S 62 চার সহ্য করিতে না পারিয়া স্ত্রীকে লইয়া দেশ ছাড়িয়া পলা ইলেন। এমন সময় দৈববাণী উঠিল “ব্ৰাহ্মণপুরী যায় যায়— সাবধান !” তাহ শুনিয়া কেহ কেহ সতর্ক হইল। প্ৰথম রাত্রে একজন বুড়ী চরখা কাটিতে কাটিতে জাগিয়া চৌকী দিতে লাগিল তাহাতেই নগর রক্ষা পাইল। দ্বিতীয় রাত্রে একজন কলুর সতর্কতায় নগর রক্ষিত হইল। তৃতীয় দিন সুযোগ পাইয়া পুরী একেবারে পাতালে প্রবেশ করিলেন—তাহার একটী মাত্র দুৰ্গ-স্তম্ভ দৃষ্টান্ত স্বরূপ অবশিষ্ট রহিল। বেলাসিস্ সাহেব এই ভগ্ন স্তুপ খনন ও বিস্তর অনুসন্ধানের পর স্থির করিয়াছেন যে নগরী ভূকম্পন প্রভৃতি প্ৰকৃতির কোন প্ৰবল উৎপাতে সহসা এইরূপ প্ৰলয় দশা প্ৰাপ্ত হইয়াছে। বেলাসিস্ সাহেবের খননে ভূমিকম্পই ব্ৰাহ্মণের প্রলয়ের কারণ বলিয়া সপ্ৰমাণ হয় । তিনি যে সকল নরকঙ্কাল দেখিতে পান তাহা প্রধানতঃ দ্বারমুখে-কতকগুলি ঘরের কোণে ;— যেন লোকের কেহ প্ৰাণ ভয়ে পলায়নোদ্যত-কেহ বা ভয়ে জড় সড় হইয়া এক কোণে বসিয়া মরণ প্রতীক্ষা করিতেছে। কথিত আছে এই ভগ্ন স্তাপে চরখায় উপবিষ্টা একটী স্ত্রীলোকের কঙ্কাল পাওয়া গিয়াছে যেন স্ত্রীলোকটী চরখা কাটিতে কাটিতে হঠাৎ চাপা পড়িয়া মৃত্যু মুখে পতিত। অগ্নযুৎপাতে এরূপ হয় নাই, কেন না। কয়লা, দগ্ধকাষ্ঠ প্ৰভৃতি এমন কোন পদার্থ পাওয়া যায় নাই যাহাতে আগ্নেয় উপদ্রব সূচিত হয়। প্রাচীরে দহনের কোন চিহ্ন নাই ।