পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজাপুর। Ridd ফেলেন। সেই সঙ্গে সাহাপুরও অনেকাংশে ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়। পরে যখন শত্রু ভয়ে কেল্লার বাহিরে বাস সঙ্কটপূৰ্ণ হইয়া উঠিল । তখন হইতে ক্ৰমে সাহাপুর পুরবাসী কর্তৃক পরিত্যক্ত হইল। সাহাপুরের অন্তর্গত আফজুলপুর শিবাজীর শিকার নামদার আফজুল খাঁর বাসস্থান ছিল। নিজ গ্রামের বিশেষ কিছুই বর্ণনীয় নাই, কিন্তু কিয়দূরে নবাব পরিবারের কতকগুলি গোর আফজুলপুর আছে, তৎসম্বন্ধে এক মজার গল্প আছে । গোরগুলি সকলই স্ত্রীলোকের গোর, আমিতেঁতুল্যবনপরিবৃত একটী সরোবর তীরে স্থাপিত। তাহার জল এখন শুকাইয়া গিয়াছে। এক লাইনে সাতটী গোর, এমন ১১ লাইন । গোর গুলির সকলেরই আকার প্রকার প্রায় সমান। গল্পটা এই যে আফজুল খাঁ যখন শিবাজীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্ৰা করেন, তখন গণৎকারেরা গণিয়া বলে যে এই যাত্ৰাই তাহার শেষ যাত্ৰা— আর তঁহাকে দেশে ফিরিতে হইবে না । তাহদের কথায় প্রত্যয় করিয়া তিনি পূর্ব হইতেই গৃহকাৰ্য্যের ব্যবস্থা করিয়া যাইতে সমুৎসুক হইলেন। তঁহার সপ্তসপ্ততি বেগম ছিল, তাহাদের গতি কি হইবে ? তিনি এক উপায় স্থির করিলেন । বেগমদের পুষ্করিণীর জলে ডুবাইয়া, পুষ্করিণীর ধারে তাহাদের সারি সারি গোর দিয়া, নিশ্চিন্ত হইয়া যুদ্ধ যাত্ৰায় নিক্ৰান্ত হইলেন । গল্পটা সত্য কিনা ঠিক বলা যায় না, কিন্তু এক ধরণের এতগুলি সারি সারি স্ত্রীলোকের গোর দেখিয়া ইহা নিতান্ত অমূলক বলিয়া বোধ হয় না।