পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজাপুর \9) & অবসর অনেক কাল অন্বেষণ করিতেছিল, তাহারা এই সুযোগ ছাড়িবার পাত্র নয়। সম্রাটের আদেশ ক্ৰমে মোরাদ আহমদনগরের সম্মুখে সসৈন্য উপনীত হইলেন। মোগল আক্রমণ হইতে স্বদেশ রক্ষার একজন প্রধান উদ্যোগী চাদ বিবি। তিনি কবচ ধারণ পূর্বক তরবার হস্তে স্বয়ং দুর্গাপালদের মধ্যে উপস্থিত থাকিয় তাহদের উৎসাহদান ও দুর্গ রক্ষণের তত্ত্বাবধান করিতেন। তিনি তাঁর ভ্রাতুষ্পত্রি বিজাপুর সুলতান ইব্রাহিমকে ডাকিয়া পাঠাইলেন ; ইব্রাহিম আসিলেন বটে। কিন্তু সময় মত আসিতে পারেন নাই। যখন আসিলেন তখন যুদ্ধ শেষ হইয়া গিয়াছে। চাঁদ বিবির যত্ন ও চেষ্টায় মোগলেরা প্রথমবার অল্পে তুষ্ট হইয়া ফিরিয়া যায়। যুবরাজ প্ৰস্তাব করিলেন যদি বহার-প্ৰান্ত (Berar) ছাড়িয়া দেওয়া হয় তাহা হইলে তিনি যুদ্ধে ক্ষান্ত দিবেন। চাদ বিবি বিজাপুরের সাহায্যলাভে হতাশ হইয়া এই প্ৰস্তাবে অগত্যা সম্মত হইলেন । এবারকার মত যেন কোন প্রকারে নিস্তার পাইলেন, কিন্তু দুই বৎসর পরে আবার যখন মোগলেরা দেশ আক্রমণ করিল। তখন আর শক্ৰ হস্ত এড়াইতে পারিলেন না। রাজ্ঞী দেশরক্ষণে প্ৰাণপণে চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিন্তু তঁহার সমুদায় চেষ্টা ব্যর্থ হইল। এদিকে বাহিরের শত্ৰু, তাহার উপর আবার গৃহবিচ্ছেদ; উপায়ান্তর না দেখিয়া মোগলদের সঙ্গে সন্ধি সাধুনের উদ্যোগ করিতেছেন এমন সময় সৈন্যেরা ক্ষেপিয়া উঠিল । একজন বিদ্রোহী সৈনিকের খড়গাঘাতে রাণী প্ৰাণ হারাইলেন ; তঁহার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আহমদনগর