পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cदांश्वाछे खि। واOR\ হাসের পৃষ্ঠা হইতে অপনোদিত হইল, এই যে তাহার ভাগ্যলক্ষনী ছাড়িয়া গেল। আর ফিরিল না । ঔরঙ্গাজীব তাহাকে পুনজীবিত করিতে বিস্তর প্রয়াস পাইয়াছিলেন। বিজাপুর সেনাদের আশ্রয়দান-আমীর। ওমরাদের মান মৰ্য্যাদা রক্ষণ, ভূমি সম্পত্তি নগদ টাকা ইনামে প্ৰজা রঞ্জন, বসতি বিস্তারের উত্তেজন ইত্যাদি নানা উপায় অবলম্বিত হইল। কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না। ভাঙ্গা যেমন সহজ, গড় তেমন সহজ নয়। স্বাধীনতা নষ্ট হইয়া অবধি সহরের জীবন বিনষ্ট হইল, তাহার শ্ৰীসৌভাগ্য চলিয়া গেল। মানুষের অত্যাচারের উপর আবার প্ৰকৃতির উপদ্রব। ঔরঙ্গ জীব থাকিতে থাকিতেই এমন এক ভয়ঙ্কর মহামারী উপস্থিত হইল যে তাহাতে লক্ষাধিক লোক মারা পড়ে ও অনেকে সহর পরিত্যাগ করিয়া পালায় । ঔরঙ্গজীবের মহিষীও এই মড়কের গ্রাসে পতিত হইয়া প্ৰাণত্যাগ করেন। তঁহার গোরের কথা পূর্বেই উল্লেখ করা গিয়াছে। মড়ক থামিয়া গেলে সম্রাটের আদেশে জনসংখ্যা গণনা করিয়া দেখা গেল যে লোক সংখ্যা সর্বশুদ্ধ ১০ লাখের কিছু কম; মাহমুদ আদিলসার রাজত্ব কালে বিজাপুর ও তৎপ্রান্তবৰ্ত্তী সাহাপুর মিলিয়া যে লোক সংখ্যা নির্ণীত হয় তদপেক্ষা প্ৰায় ১০ লক্ষ ১৬ হাজার লোক কমিয়া গিয়াছে। মোগল হইতে মহারাষ্ট্রীদের হস্তে পড়িয়া বিজাপুর দিন দিন আরো অবসাদহিমে স্নান হইতে লাগিল। মোগলদের সময় তাহার শ্ৰীসৌভাগ্যের যাহা কিছু অবশিষ্ট ছিল বগীদের অত্যাচারে তাহাও