পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

No R cबांत्रांदे रुिद्ध । নাই। বাদসাহের উপর রোহিলা দলপতি গোলাম কান্দরের প্ৰচণ্ড দৌরাত্ম্য সিন্দিয়ার কর্ণগোচর হইল। এই গোলাম কাদির দিল্লীতে প্ৰবেশ করিয়া যে ভয়ানক মারকটি অত্যাচার জারী করে তাহার তুলনা পাওয়া ভার। কতক দিন ধরিয়া নগর লুণ্ঠন, প্রাসাদ লুণ্ঠন ; লুণ্ঠনে আশানুরূপ ধন লাভে নিরাশ হইয়া গুপ্ত ধন বাহির করিবার অভিপ্ৰায়ে বাদসাহের উপর, রাজপরিবারের উপর অকথ্য দারুণ উৎপীড়ন প্ৰবৰ্ত্তিত হয়। এই সকল অত্যাচারে জর জর হইয়া বেচারা সা আলম মনস্তাপে বলিয়া উঠিলেন—“এ দৃশ্য দেখা অপেক্ষা আমার অন্ধ হওয়া ভাল ছিল।”—এই কাতরোক্তি শ্রবণে নৃশংস কাব্দর তরবার দিয়া ভঁাহার চক্ষুদ্বয় উৎপাটন করিয়া সেই দণ্ডে তঁহাকে অন্ধ করিয়া ছাড়ে। মড়ার উপর আবার খাড়ার ঘা না দিয়া সে সন্তুষ্ট নয় । সেই শোণিতাক্ত অন্ধ বাদস্যকে পাষাণহৃদয় পাষণ্ড আবার উপহাসাচ্ছলে জিজ্ঞাসা করিল, “এখন বাবা কি দেখিতেছি ?” বান্দস উত্তর করিলেন “তোমার আমার মাঝখানে আমি বাপু কোরাণ দেখিতেছি।” সমৰ্পক উত্তর, কেননা কোরাণ ছুইয়া শপথের পর গোলামের শেষে এই আচরণ । এই দুরাত্মাকে শীঘ্রই তাহার পাপের শাস্তি ভোগ করিতে হইল। সিন্দিয়ার সৈন্যাগমে সে দিল্লী ছাড়িয়া পালায় এবং কতকদিন পরে ধৃত হইয়া স্বীয় পাপানুরূপ কঠোর প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হয়। মহাদাজী অন্ধ বৃদ্ধ বাদ্যসাহিকে মহা সমারোহে দিল্লীর সিংহাসনে পুনঃস্থাপন করিয়া যথোচিত সান্তনী