পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cबांक्षांदे नश्व्र। (Oዓ ዓ অভিনয় করুন না কেন, নানা ফর্ণবীসের ন্যায় দূরদর্শী চতুর লোকের তঁাহার গুঢ় অভিসন্ধি তলাইয়া বুঝিতে আর বাকী রহিল না এবং ফলেও প্রকাশ পাইল, পুণায় থাকিয়া প্ৰধান মন্ত্রীরূপে রাজকাৰ্য্য নির্বাহ করেন, এই ভঁাহার ভিতরকার মতলব । নানা ও সিন্দের মধ্যে মহা রেষারেষি-পেশওয়া বেচারা ভাবিয়া পান না কোন দিক রক্ষা করেন—দুই জন ভঁাহার দুই বাহু। নানার বিপক্ষতা সত্ত্বেও পুণা দরবারে সিন্দের আধিপত্য দিন দিন বৃদ্ধি হইতে চলিল। পেশওয়াকে তিনি শিকার, ব্যায়াম চর্চা, নানাপ্রকার প্রদর্শন, আমোদ প্রমোদে ভুলাইয়া তঁহার মমতা আকর্ষণ করেন-নানা ফর্ণবীসের মহিমা মান । মহাদাজীর প্রভুত্ব নানার অসহ্য হইয়া উঠিল—এমন কি তিনি রাজ্য কারবার ছাড়িয়া কাশীবাসের সঙ্কল্প করিলেন । পেশওয়া তঁহাকে অভয় বচন দিয়া অনেক করিয়া সাস্তুনা করেন। তঁহাদের পরস্পর বৈমনস্য প্ৰকাশ্য লাঠালাঠিতে পরিণত হইবার উপক্রম, এমন সময় যমদূত আসিয়া নানার পক্ষ অবলম্বন করিল। সিন্দিয়া সহসা জ্বর।রোগে আক্রান্ত হইয়া মানবলীলা সম্বরণ করিলেন । নানার একমাত্ৰ অপ্ৰতিহত প্ৰতিদ্বন্দী সরিয়া যাওয়াতে র্তাহার প্রভুত্বের পথ নিষ্কণ্টক হইল। মহাদাজীর মৃত্যুর অনতিকাল পরে পেশওয়া ও নিজামের মধ্যে চৌথ লইয়া যুদ্ধ বাধিবার উপক্রম। নিজাম আলি ব্রিটিস সিংহকে স্বপক্ষে টানিবার অনেক চেষ্টা করিয়াও কৃতকাৰ্য্য হইলেন না। তখনকার বড় লাটসাহেব সর জন শোর এ বিবাদে 8ኪ?”