পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S. বোম্বাই চিত্র। কিন্তু আমরা সমস্ত দিবস ক্রমাগত চলিয়া তাহার এক পাশ্ব দেশও শেষ করিতে পারিলাম না । সমুদ্রের মধ্য হইতে সিংহলের শোভা দেখিতে অতি সুরম্য হইয়াছে। সমুদ্র প্ৰান্তের অস্পষ্ট নীলবৰ্ণ - তাহার উপরে গৌরবর্ণ, বালুতাঁটতাহার পশ্চাতে শ্যামবর্ণ বনরাজি,-পরে মেঘমালার ন্যায় প্ৰতীয়মান পর্বতশ্রেণী—এই সকল ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের বস্তু মিলিয়া চমৎকার শোভা ধারণ করিয়াছে—আমাদের সম্মুখে ঠিক যেন এক খানি চিত্ৰপট রহিয়াছে। অদ্য ও “গাল’ পাওয়া গেল না। আদ্য সমুদ্রের উপরে আমাদের শেষ দিন। এ সমুদ্রের সঙ্গে যদিও বিষম বিবাদ গিয়াছে, তথাপি ইহাকে ছাড়িতে এক্ষণে তেমন ইচ্ছা করিতেছে না । কলিকাতায় ধূলি যেমন সুলভ, এখানে পরিশুদ্ধ বায়ুও সেই প্রকার। কলিকালুর সমুদয় ধনীর সমুদয় ধন একত্ৰ করিলে ও ইহার একটি হিল্লোল ও ক্রয় করা যায় না। স্বষ্টির সমুদয় শোভাই এখানে একত্রীভূত—মনুষ্যের কাৰ্য্য অতি অল্প। কলিকাতাকে ভুলাইয়া রাখিবার বস্তুই অনেক । সেখানে আমরা চন্দ্ৰ, সূৰ্য্য, আকাশ, নক্ষত্ৰ, প্ৰত্যহ এই রূপই দেখি, কিন্তু এখানেই তাহাদের আকর্ষণী শক্তি প্ৰকাশ পায়। কতকগুলি কৃত্ৰিম শোভা দৃষ্টিকে আর আচ্ছন্ন করিতে পারে না। এই সকল স্থানকে যাহারা শূন্য মনে করে, তাহারা কোন চিত্ৰলেখার ন্যায় চন্দ্র সূৰ্য্যেরই শোভা দৰ্শন করে ; কিন্তু যাহারা ইহাকে দেব-মন্দির করিয়া দেখে, তাহাদের নিকটে এ সকল নূতন শোভায় সুশো