পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিংহলে ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত । GNSVO ১২ কাৰ্ত্তিক, শুক্রবার। সমুদ্র-পীড়াকে দূর হইতে দেখিয়া জ্বর কোথায় চলিয়া গিয়াছে। আজ উষাকাল অবধি সায়ংকাল পৰ্য্যন্ত সমুদ্রকে উপভোগ করিলাম। সমুদ্রের এমন শান্তমূৰ্ত্তি আর কখনো দেখি নাই, তরঙ্গ প্রায় নাই। যে সমুদ্র এক একবার স্বীয় বেগে পাহাড় পর্বতকে অস্থির করে, তাহা এমন শান্ত হইয়াছে যে এখন সামান্য নৌকা করিয়াও তাহার উপর দিয়া যাওয়া যায়। জলের উপর যেন কে শিল্পকাৰ্য্য করিয়া রাখিয়াছে। বায়ু সমুদ্রের উপর হইতে আসিয়া আমারদিগকে আলিঙ্গন করিতেছে এবং সমস্ত শরীরকে শীতল করিয়া দিতেছে। এখানে সমুদ্রই এক প্ৰকাণ্ড ব্যাপার-বিশ্বের সমুদয় কাৰ্য্য যেন তাহারই উপর দিয়া হইতেছে, সূৰ্য্য তাহারই মধ্য হইতে উদয় হইতেছে এবং তাহারই গৰ্ত্তে প্ৰবেশ করিাতেছে-জ্যোতিগণ যেন তাহারই সেবায় নিযুক্ত আছে ! আমার সকল চিন্তা সমুদ্রই এক্ষণে হরণ করিতেছে। সমুদ্রকে দেখিলে ইহাকে অনন্তস্বরূপের নিকেতন মনে হয় । ‘অনাদিমৎ ত্বং বিভুত্বেন বৰ্ত্তসে যতোজাতানি ভুবনানি বিশ্বা।” ইহা অনন্তের কি অপূর্ব আদর্শ-কি অতুল্য প্রতিমা ! এক্ষণে আকাশ আর সমুদ্র ! ইহারা যেন শতমুখে স্তোত্ৰ পাঠ করিতেছে। কিন্তু এই সুদূর-বিস্তুত প্রশান্ত সমুদ্র, নক্ষত্ৰতাঁরা-গ্ৰহ-সন্ধুল গগন-বিতান-ইহাদের সৌন্দৰ্য্য ও রমণীয়তা যদি আরো সহস্ৰ গুণ হইত, অথচ ভাবগ্ৰাহক মনের সৃষ্টি না