পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিন্ধু-কাহিনী। দ্বিতীয় পত্র। সিন্ধুদেশ আর বাঙ্গলাদেশ কি তফাৎ ! বাঙ্গলার হাস্যময়ী প্ৰকৃতির ক্রোড়ে বাস করা যাহাদের অভ্যাস তাহদের কাছে সিন্ধু কি নীরস কি শুষ্ক—যে দিকে চাও বালুময় ক্ষেত্ৰ, চক্ষের আরাম আদিবে নাই। কিন্তু মরুভূমির মধ্যেও সুভদ্র হরিতক্ষেত্র নেত্ৰগোচর হয়। সিন্ধুদেশেও স্থানে স্থানে ভূমি উর্বর ও শস্য-শালিনী। শীকারপুরের জমি সারাল মন্দ নয়। এই মরুভূমিতে যে এত বড় বড় গাছ-ফলের গাছ, ছায়াতরু জন্মিতে পারে তা সহজে বিশ্বাস হয় না । এ সকল বৃক্ষের বয়স অধিক নয়, কুড়ি বৎসরের মধ্যে কর্তৃপুরুষদের যত্নে এই ষ্টেসন গাছে গাছে ভরিয়া গিয়াছে। আমরা যে বাড়ীতে ছিলাম। তার কমপৌণ্ডের বাগানে আমি খেজুর ও অন্যান্য ফল ফুলের গাছ ছিল। আঙ্গুর। পৰ্য্যন্ত জন্মিত। দ্রাক্ষালতার জন্য চাল বঁধিয়া দিতে হয়, আমরা তাহার নীচে চলিয়া বেড়াইতাম। দুঃখের বিষয় যে তাহার ফল ভক্ষণ করিতে পারি।-- লাম না, আঙ্গুর পাকিবার আগেই আমার অন্যত্ৰে বদলি হইল। অনেক সময় এইরূপ হয়, এক জায়গায় জিনিস পত্ৰ কিনিয়া ঘরকন্না গুছাইয়া বসিয়া নিয়াছি এমন সময় বদলির হুকুম ; অমনি তল্পিতল্পা বঁাধিয়া দূরে যাইতে হইল। সর্বিসের প্রারম্ভে এইরূপ অস্থির পঞ্চমে অনেক ঘুরিয়া বেড়াইতে হয়। কলে