পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিন্ধু-কাহিনী। ህ”¢ তাহাতে কখন যদি ব্যক্তিগত স্বাধীনতার খর্বত হয় তাহার উপায়ান্তর নাই। এই স্বাধীনতাটুকু হরণ করা সমাজের উপকারের জন্যই অনেক সময় আবশ্যক হয়। আমাদের দেশের অনেক সামাজিক কুরীতির উপর আইনের হস্তক্ষেপ করিতে হইয়াছে নহিলে তাহার উচ্ছেদসাধন কঠিন হইত। ভ্ৰাণহত্য— নরবলি-সহমরণ প্ৰভৃতি এদেশের চিরন্তন প্ৰথা-সকল আইন দ্বারা নিবারিত হইয়াছে, তবে এটা হয় না কেন ? যে সকল বিষয়ে অপ্ৰাপ্তবয়স্কদিগের হিতাহিত নির্ভর করে অনেক সময় আইন তাহার উপর হস্তপ্রসারণ করেন। যে রীতি অনুসারে বালক বালিকা চিরকালের জন্য অকাট্য বন্ধনে বদ্ধ হইতেছে, যাহার উপর তাহদের চিরজীবনের সুখ দুঃখ নির্ভর, তাহাতে রাজার নিয়ম হস্তক্ষেপ করিতে পরিবে না। এমন কখনই হইতে পারে না। আইন দ্বারা বিবাহের একটা বয়স নির্দিষ্ট হওয়া কি ভাল নয় ! পুরুষের ধর ১৮ বৎসর মেয়েদের ১৫ বৎসরের নীচে বিবাহ নিষেধ। এরূপ নিয়ম বিধিবদ্ধ হওয়া কি নিতান্ত অন্যায় ? কেহ বলিতে পারেন। এরূপ করিতে গেলে ধৰ্ম্মের উপর হস্তক্ষেপ করা হয়। কিন্তু আমাদের কোন শাস্ত্ৰে বাল্যবিবাহ অনুমোদন করে ? পুরাতন আৰ্য্যদিগের যে চতুরাশ্রমের নিয়ম ছিল— ব্ৰহ্মচর্য্যের পর গাৰ্হস্থ্য—তাহা কি আমরা ভুলিয়া গিয়াছি। অধ্যয়নের বয়সে দারপরিগ্ৰহ করিয়া কখন সংসারের ভার গ্ৰহণ করিবার রীতি ছিল না। মেয়েদের অধিক বয়সে বিবাহ দিবার যে সামাজিক প্রতিবন্ধক আছে। পুরুষদের সম্বন্ধে তাহা কিছুই