পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cदांशाझे फ्रिद्ध যতদিন থাকিবে ততদিন বাল্য-বিবাহও রাজত্ব করিবে । গুজরাটে একজাতীয় চাষা আছে তাহাদের নাম কড়য়া কুন্নবী, তাহাদের মধ্যে এক অদ্ভুত প্ৰথা এই যে, দ্বাদশ বৎসর অন্তর তাহাদের বিবাহ কাল উপস্থিত হয় তখন বালক বালিকার বিবাহ দিবার জন্য মা বাপ আকুল হইয়া পড়েন, কেন না সে সময়টি চলিয়া গেলে বার বৎসরের মধ্যে আর বিবাহের লগ্ন নাই সুতরাং এ জাতির মধ্যে এই নিয়মটি বাল্যবিবাহের প্রবর্তক । ইহাদের মধ্যে অনেক সময় দুগ্ধপোষ্য বালক বালিকার বিবাহ ঘটনা শ্রত হওয়া যায়। এইরূপ অনেক কারণে বাল্যবিবাহ হিন্দুসমাজে স্থান পাইয়াছে কিন্তু আমার মতে এ কাল-সপকে প্রশ্রয় দিলে আমাদের কোনমতে রক্ষা নাই—কালক্রমে আমাদের সমাজ প্ৰলয়-দশা প্ৰাপ্ত হইবে । রসিক বাবু বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আপত্তি সকল যুক্তি দ্বারা খণ্ডন করিতে চেষ্টা পাইয়াছেন। কিন্তু তাহাতে যে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন তাহ বোধ হয় না । বাল্যবিবাহে দম্পত শরীর মন রুগ্ন হইয়া পড়ে এ বিষয়ের দোষটা তিনি দম্পতীর অভিভাবকের স্কন্ধে চাপাইতে চান। তাহার অর্থ স্পষ্টাক্ষরে এই বুঝা যায়—বিবাহ ও বিবাহের পরিণতি-এ দুই স্বতন্ত্র রাখা উচিত-তাহা হইলে এ প্রথার দোষের ভাগ পরিত্যাগ করিয়া গুণের অংশ গ্ৰহণ করা হয় । কিন্তু এ কেবল কথার কথা, কাজে এরূপ নিয়ম হওয়া অসম্ভব। মহারাষ্ট্র ও অন্য কোন কোন দেশে এই রীতি আছে বটে যে মেয়ে বড় ন হইলে