পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী ՖԳe লোক স্বভাবতঃই অলস হইয়া পড়ে। এমন কি, সুজলা স্থফলা বাংলাদেশে চাষীদেরও বৎসরে তিনমাস মাত্র পরিশ্রম করিয়া বাকী নয় মাস আলস্তে অতিবাহিত করিতে হইত। কিন্তু ভারতের অন্তান্ত প্রদেশের অবস্থা ছিল অন্যরূপ । এত স্থখ-স্বচ্ছন্দে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহের সুবিধা তাহাদের ছিল না । কাজেই ভারতের ঐ সমস্ত প্রদেশের অধিবাসীরা ব্যবসার দিকে ঝুঁকিয়া পড়ে। তাহারই ফলে আজ তাহারা ধনী ব্যবসায়ী । ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ যে বাংলার দুৰ্গতির প্রথম ও প্রধান কারণ, তাহা আমি পূর্বেই বলিয়াছি। কিন্তু তাহাতেও বাংলার এত সৰ্ব্বনাশ হইত না, যদি সাধারণ লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের কেরাণী-গড়া শিক্ষার দিকে এমনি ঝুকিয়া না পড়িত। ब्sिन्द्वकोन्द्र द्रवन्झन्= আজ মাড়োয়ারী, ভাটিয়া প্রভৃতি সম্প্রদায় বাংলাদেশে ব্যবসায় করিয়া প্রভূত ধনী । তাহাদের মধ্যে তথা-কথিত শিক্ষিতের সংখ্যা নাই বলিলেই চলে। আর তথা-কথিত শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালী আজ অন্ন-সমস্যায় বিত্রত । চাকুরী নাই, অতএব তাহাদের করিবারও আর কিছু নাই! আমাদের মধ্যে নিম্নশ্রেণীর হিন্দু—যাহারা ব্যবসায় করিত এবং যাহাঁদের বংশধরগণ এখনো ব্যবসায়ে লিপ্ত আছে, তাহারা উচ্চবর্ণের সম্পত্তিশালী লোকদিগকে টাকা ধার দিয়া, তাহাদের সম্পত্তির এখন মালিক হইয়া বসিতেছে। উচ্চ বর্ণের হিন্দু জমিদার, তালুকদার প্রভৃতি এবং যাহারা এতদিন বড় বড় চাকুরী করিয়া কিছু সম্পত্তি ও অর্থ অর্জন করিয়াছিলেন, আজ র্তাহারা প্রায় সকলেই ঋণগ্রস্ত। সভ্যতার চাল-চলন বজায় রাখিতে গিয়া সকলেই নিঃস্ব । কেরাণীর ত কথাই নাই! যেমনি আয় তেমনি ব্যয়—বরং মুদি-দোকানে দেন্দার । কাহারও কিছুই সঞ্চয় নাই ।