পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের মত ও বিশ্বাস - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম উপদেশ।

 তিনি স্বতন্ত্র। তাঁহার কেহ নিয়ন্তা নাই, তিনি কাহরও অধীন নহেন। তিনি কাহারও সহায়তা গ্রহণ করিয়া সৃষ্টি করেন নাই; আমাদের সকলই তাঁহার সহায়তার অধীন। তিনি কাহারও মন্ত্রণা লইয়া জগৎ কার্য্য চালনা করিতেছেন, এমনও নহে। তিনি একাকী—তাঁহার যাহা ইচ্ছা হয়, তাহাই সম্পন্ন হয়। আমরা সকলে তাঁহার অধীনে থাকিয়া তাঁহারই অভিপ্রায় সম্পন্ন করিতেছি, কিন্তু তিনি একমাত্র স্বতন্ত্র।

 তিনি পরিপূর্ণ। তাঁহার কিছুই খর্ব্বতা নাই। তাঁহার কোন তত্ত্বের অন্ত হয় না—সীমা হয় না—পরিমাণ হয় না। তিনি অনন্ত, অপরিসীম, অপরিমেয় পূর্ণ পদার্থ। কাহারও সহিত তাঁহার উপমা হয় না।

 এই অনন্ত-জ্ঞান পূর্ণ মঙ্গল পুরুষের প্রতি স্থিরদৃষ্টি রাখিয়া আমরা যেন জীবন-যাত্রা নির্ব্বাহ করি। যিনি সর্বজ্ঞ, তিনি আমারদের অন্তর্যামী। তাঁহার নিকটে অন্ধকার ও আলোক উভয়ই তুল্য। নির্জনে পাপাচরণ করিলে, তাঁহার নিকট অপ্রকাশ থাকে না। আমরা তাঁহাকে অন্তস্থায়ী সর্ব্বসাক্ষী জ্ঞান করিয়া যেন তাঁহার প্রিয় কার্য্যসাধনে তৎপর থাকি। তিনি মঙ্গল স্বরূপ। তাঁহার শুভ অভিপ্রায় যাহাতে সম্পন্ন হয়, তাহার জন্য আমারদের প্রাণপণে যত্নবান থাকা উচিত। আমাদের ইচ্ছা যেন। তাঁহার মঙ্গলময়ী ইচ্ছার বিরোধিনী না হয়। তিনি আমাদিগকে এই শুভ উদ্দেশে এখানে প্রেরণ করিয়াছেন যে আমরা জ্ঞান ধর্ম্ম লাভ করিয়া তাঁহার সহবাসের উপ-