হইতে সর্ব্বাতীত পরমেশ্বরে গমন করে এবং সেই অনন্তের নামাক্ষর সর্ব্বত্র পাঠ করিয়া আপনাকে উন্নত করে।
সেই আত্মাই মুক্ত, যে সংসারের অনুরোধ অপেক্ষা ঈশ্বরের অনুরোধ গুরুতর জ্ঞান করে; যে দেশাচারের নিকটেই অবনত না হয়, পৈতৃক ধর্ম্ম গ্রহণ করিয়াই তুষ্ট না থাকে; যেখান হইতেই হউক সত্যের আলোক পাইলেই আদর পূর্ব্বক গ্রহণ করে এবং মনুষ্যের উপদেশ অন্তরের ধর্ম্মোপদেশকে অতিক্রম করিতে না দেয়।
সেই আত্মাই মুক্ত, যাহার প্রীতি সঙ্কীর্ণ নহে; যে এক দেশে বা এক সম্প্রদায়ের মধ্যে বদ্ধ নহে; যে সকলের প্রতি প্রসন্ন ভাবে দৃষ্টি করে; যে আলস্য অহঙ্কার স্বার্থপরতা অতিক্রম করিয়া হৃদয়-গ্রন্থি-সকল ছেদন করে এবং ঈশ্বরের জন্য আপনার সর্ব্বস্ব বলিদান দিতেও প্রস্তুত থাকে।
সেই আত্মাই মুক্ত, যে আত্মা বাহিরের অবস্থাতেই সংরচিত হয় না; ঘটনার স্রোতেই নীয়মান হয় না; যে প্রবৃত্তির অধীনতাতেই কার্য্য করে না; কিন্তু আপনার জীবনের সঙ্কল্প স্থির রাখিয়া সকল ঘটনা, সকল অবস্থাকেই, আপনার উন্নতির অনুকূল করে।
সেই আত্মাই মুক্ত, যে ধর্ম্ম-বলে সবল হইয়া পূর্ণ মঙ্গল স্বরূপ ঈশ্বরে আন্তরিক বিশ্বাস স্থাপন করিয়া সকল ভয় পরিত্যাগ করে; পাপকে যাহার সকল বিপদের মধ্যে ভয়ানক বিপদ্ মনে হয়; কোন ভর্ৎসনা, কোন নির্যাতনা, যাহাকে ধর্ম্ম-পথ হইতে ভ্রষ্ট করিতে সমর্থ হয় না; যে এই অস্থায়ী স্থূল বাহ্য বিষয় হইতে নিবৃত্ত দু হইয়া বিষয়া-