পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ტ6* ভবিষ্যতের বাঙালী যথাযথভাবে অবহিত হ’ন, তা”হ’লে যে কোন শাসনপ্ৰণালীতেই দেশে সুখ এবং সমৃদ্ধি না এসে থাকতে পারে না । পক্ষান্তরে, রাষ্ট্রনেতাদের দায়িত্ব এবং কৰ্ত্তব্যজ্ঞান যদি শিথিল হয় এবং রাষ্ট্রের জনসাধারণ যদি তাদের দায়িত্ব, অধিকার এবং কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে উচিতভাবে সজাগ এবং অবহিত না হ’ন, তা”হ’লে কোন ধরণের শাসন প্ৰণালী থেকেই সুফলের আশা করা যায় না। সে অবস্থায় রাষ্ট্রে দুঃখ, অশান্তি এবং অরাজকতা অপসা আনিবাৰ্য্য। রাষ্ট্রের মঙ্গলামঙ্গল প্রকৃতপক্ষে জাতির চরিত্র, ন্যায়নিষ্ঠা এবং কৰ্ত্তব্যজ্ঞানের উপরই একান্তভাবে নির্ভর করে । যে সব প্ৰাতঃস্মরণীয় মহাপুরুষ বিভিন্ন জাতিকে গঠন করেছেন, বিভিন্ন সমাজকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তারা এই সত্যকে সম্যকভাবে উপলব্ধি করতেন-চরিত্রসৃষ্টির দিকে বিশেষভাবে তারা মনোনিবেশ করেছিলেন এবং বিধিনিষেধ, ধৰ্ম্মান্য সাশন, নৈতিক উপদেশ প্রভৃতির সাহায্যে ব্যষ্টি এবং সমষ্টির চরিত্রকে উচ্চতর স্তরে নিয়ে যাবার জন্য আপ্ৰাণ চেষ্টা করেছিলেন । রোমের দ্বাদশ অনুশাসনের ( Twelve tables ) প্ৰণেতারা, গ্রীসের সোলোন, লাইসারাজাস প্ৰভৃতি রাষ্ট্রজনকেরা, ভারতবর্ষের মন্ত, বেদব্যাস প্রভৃতি সমাজস্রষ্টারা, চীনের সমাজগুরু কনফুসিয়াস, ইহুদিদের জাতীয় জীবনের প্রতিষ্ঠাতা মুসা, মুসলিম জাতির গুরু এবং পথপ্রদর্শক হজরত মোহাম্মদ প্রভৃতি সকলেই মানবচরিত্রের এবং সমাজজীবনের উৎকর্ষসাধনের জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টা করেছেন। তঁরা স্পষ্টই বুঝেছিলেন যে, জাতির মঙ্গলামঙ্গল একান্তভাবে নির্ভর করে ব্যষ্টি চরিত্রের উৎকর্ষের উপর । এই সব মহাপুরুষদের শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্যের কথা ভুলে গিয়ে তঁদের তথাকথিত শিষ্যের দল এখন অর্থহীন ক্রিয়াকলাপকেই তঁদের শিক্ষার মূল বস্তু ধরে নিয়েছেন। আর এর ফলে তঁদের শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ ক’রে