পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাববার কথা । পাঠ করেন এবং উহার বিষয়ীভূত শ্রীরামকৃষ্ণদেবের প্রতি অনেকেই আস্থাবান হইয়াছেন। আর সুফল হইয়াছে কি ?—পাশ্চাত্য সভ্য জাতিরা এই ভারতবর্ষ নরমাংস-ভোজী, নগ্ন-দেহ, বলপূৰ্ব্বক বিধবা-দাহনকারী, শিশুঘাতী, মুর্থ, কাপুরুষ, সৰ্ব্বপ্রকার পাপ ও অন্ধতা-পরিপূর্ণ, পশুপ্রায় নরজাতিপূর্ণ বলিয়া ধারণা করিয়া রাথিয়াছিলেন ; এই ধারণার প্রধান সঙ্কার পাদরী সাহেবগণ—ও বলিতে লজ্জা হয়, দুঃখ হয়, কতকগুলি আমাদের স্বদেশী । এষ্ট দুই দলের প্রবল উদ্যোগে যে একটি অন্ধতামসের জাল পাশ্চাত্যদেশনিবাসীদের সম্মুখে বিস্তৃত হইয়াছিল, সেইটি ধীরে ধীরে খণ্ড খণ্ড হইয়। যাইতে লাগিল। “যে দেশে শ্ৰীভগবান রামকৃষ্ণের ন্তায় লোক গুরুর উদয়, সে দেশ কি বাস্তবিক যে প্রকার কদাচারপূর্ণ আমরা শুনিয়া আসিতেছি, সেই প্রকার ? অথবা কুচক্রীরা আমাদিগকে এতদিন ভারতের তথ্য সম্বন্ধে মহাভ্রমে পাতিত করিয়। রাখিয়াছিল ?”—এ প্রশ্ন স্বতঃই পাশ্চাত্য মনে সমুদিত হইতেছে । পাশ্চাত্য জগতে ভারতীয় ধৰ্ম্ম-দৰ্শন-সাহিত্যসাম্রাজ্যের চক্রবর্তী অধ্যাপক ম্যাক্ষমুলার যখন শ্রীরামকৃষ্ণচরিত অতি ভক্তি-প্রবণ হৃদয়ে ইয়ুরোপ ও আমেরিকার অধিবাসীদিগের কল্যাণের জন্য ংক্ষেপে নাইনটন্থ সেঞ্চুরীতে প্রকাশ করিলেন, তখন পূৰ্ব্বোক্ত দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ভীষণ অস্তদাহ উপস্থিত হইল, তাহ। বল বাহুল্য । মিশনর মহোদয়ের হিন্দু দেবদেবীর অতি অযথা বর্ণন করিয়া র্তাহীদের উপাসকদিগের মধ্যে যে যথার্থ ধাৰ্ম্মিকলোক কথন উদ্ভূত হইতে পারে না—এইটি প্রমাণ করিতে প্রাণপণে চেষ্টা 8と。