পাতা:ভারতভিক্ষা - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ভারতভিক্ষা।
১১

“পাব কি দেখিতে তেমতি আবার।
ক্রোড়েতে বসিয়া হাসিবে আমার,
ডাকিবে কুমার ‘জননী’ বলিয়া
ইউরোপ্‌, আম্‌রিক উচ্ছ্বাসে পূরিয়া,—
ভারতের ভাগ্যে, অহো বিধাতা!
“পূর্ব্ব সহচরী রোম সে আমার
মরিয়া বাঁচিয়া উঠিল আবার—
গিরীশেরও দেখি জীবন সঞ্চার!
আমি কি একাই পড়িয়া রব?
“কি হেন পাতক করেছি তোমায়,
বল্‌ অরে বিধি বল্ রে আমায়?
চিরকাল এই ভগ্ন দণ্ড ধরি,
চিরকাল এই ভগ্নচূড়া পরি,
দাস-মাতা বলি বিখ্যাত হব!
“হা রোম,—তুই বড় ভাগ্যবতী!
করিল যখন বর্ব্বরে দুর্গতি,
ছন্ন কৈল তোর কীর্ত্তিস্তম্ভ যত,
করি ভগ্নশেষ রেণু-সমাবৃত
দেউল, মন্দির, রঙ্গ-নাট্যশালা,
গৃহ, হর্ম্ম, পথ, সেতু, পয়োনালা,
ধরা হ’তে যেন মুছিয়া নিল।
“মম ভাগ্য দোষে মম জেতৃগণ
কক্ষ, বক্ষ, ভালে পদাঙ্ক স্থাপন