পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১২৯

এবং প্রকৃতির মধ্যে চিত্তকে লাভ করিয়া আনন্দ লাভ করে। কোনও সুচিত্রী যখন কোনও বস্তুর যথাস্থিতিক চিত্র আঁকেন তখন সেই বস্তুকে আপন ধ্যানের মধ্যে আহরণ করেন; তখনই তাহা তাহার বহির্রূপতা পরিত্যাগ করিয়া তদনুযায়ী ও তৎসদৃশ অন্তরূপে আপনাকে পরিণত করে। এই অন্তরের রূপকে বাহিরের রূপের প্রতীক বলিয়া যে গ্রহণ করা হয়, তাহার মূলেও উপমান প্রক্রিয়া চলিয়াছে। সদৃশ-প্রত্যয়ের বলেই চিত্রী অন্তর্রূপকে বহিরূপের সদৃশ একটি চৈত্তিক অবস্থা বলিয়া গ্রহণ করিতে পারেন। এই চৈত্তিক অবস্থাই সৃষ্টির উপযোগী বৈক্ষিক চিত্ত বা aesthetic state.

 যখন আমরা একটী বস্তুর সদৃশ বলিয়া অপর একটা বস্তুকে মনে করি তখন কি কারণে আমাদের চিত্তে এই সদৃশ প্রতীতি উৎপন্ন হয়? ইন্দ্রিয় দ্বারা কোন পুরোবর্ত্তী গরুকে আমরা প্রত্যক্ষ করিতে পারি এবং সেই গরুর নানা অবয়বও চক্ষুতে দেখিতে পারি। কিন্তু সেই গরুর মধ্যে এমন কোন বিশিষ্টরূপ নাই যাহাকে সদৃশ বলিয়া বলা যায় এবং যাহা চক্ষুরিন্দ্রিয়গোচর। এইজন্যই ইহা স্বীকার করিতে হয় যে সেই গরুটী দেখিলে আমাদের অন্তরে অপর গরুর যে সংস্কার উদ্বুদ্ধ হয় তাহার সহকারিতায় সদৃশ প্রত্যয় উৎপন্ন হয়। গরুকে সম্মুখে দেখিয়া অপর একটী গরুর কথা মনে ভাবিলেও এই সদৃশ প্রত্যয় উৎপন্ন হয়। এইজন্য ইহা প্রমাণিত হয় যে সদৃশ প্রত্যয় সাক্ষাৎ ইন্দ্রিয়জ নহে। প্রত্যক্ষ ইন্দ্রিয় ব্যবহার