মানুষকে ছাড়াইয়া রহিয়াছে যে সব অগণিত দেবতা, দেবতাকে ছাড়াইয়া রহিয়াছে যে ইশ্বর, ঈশ্বরকে ছাড়াইয়া রহিয়াছে যে মানুষের নিজেরই অনির্ব্বচনীয় অনস্ত সত্তা। ভারত দেখিয়াছে যে এই জীবনকে অতিক্রম করিয়া উঠিয়া চলিয়াছে আরও সব জীবনের পরিক্রম, বর্ত্তমান মানসকে অতিক্রম করিয়া উঠিয়া চলিয়াছে আরও সব মানসের পরিক্রম, সকলের উপরে উদ্ভাসিত আত্মার মহিমা। এই দৃষ্টি তার ছিল বলিয়াই ভারত পাইয়াছে একটা প্রশান্ত দুঃসাহস—সে দৃষ্টিতে নাই কোন সঙ্কোচ, নাই কোন ক্ষুদ্রতা। ইহারই কল্যাণে যে কাজে দরকার অন্তরাত্মার বল, বুদ্ধিবৃত্তির বল, মনের বল, প্রাণের বল, তেমন কাজে কখনও সে পশ্চাৎপদ হয় নাই। ভারত মুক্তকণ্ঠে ঘোষণা করিয়াছে যে, এমন কোন বস্তু নাই, যাহা মানুষে আধিকার করিতে পারে না—প্রয়োজন শুধু ইচ্ছাশক্তিকে, জ্ঞানশক্তিকে শাণিত সমর্থ করিয়া তোলা। অন্তরের মধ্যে রহিয়াছে যে লোকপরম্পরা তাহা মানুষ জয় করিতে পারে, মানুষ হইতে পারে স্বরূপস্থ পুরুষ; মানুষ দেবতা হইতে পারে, ঈশ্বরের সহিতও একীভূত হইতে পারে, এমন কি, হইয়া যাইতে পারে অনির্ব্বচনীয় ব্রহ্ম।
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
১৪
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/5/54/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE_-_%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6_%E0%A6%98%E0%A7%8B%E0%A6%B7.pdf/page16-1024px-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE_-_%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6_%E0%A6%98%E0%A7%8B%E0%A6%B7.pdf.jpg)