বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

বাহিরে প্রয়োগের মধ্যে মূর্ত্ত করিয়া ধরা যায়। কারণ, ভারত হইতেছে ধর্ম্মের ও শাস্ত্রের পীঠস্থান। ব্যষ্টিগত হউক আর বিশ্বগত হউক, প্রত্যেক কর্ম্মচেষ্টার ভিতরের সত্য কি, ছন্দ কি অর্থাৎ ধর্ম্ম কি, ভারত তাহাই খুঁজিয়াছে। সেইটি যখন সে পাইয়াছে, তখন তাহাকে বাস্তব জীবনের ধারায় ঢালিবার চেষ্টা করিয়াছে, নানারূপের মধ্যে, খুঁটি নাটি জটিলতার মধ্যে, সাজাইয়া গুছাইয়া ফেলাইয়া ধরিতে চাহিয়াছে। ভারতের আদিযুগ উদ্ভাসিত অধ্যাত্মের আবিষ্কারে। ভারতের মধ্যযুগে শেষ হইল ধর্ম্মের আবিষ্কার। আর সর্বশেষ যুগে শাস্ত্র আনিয়া দিল প্রয়োগের পুঙ্খানুপুঙ্খ বহুল জটিল বিধি বিধান। এই তিনটি ধারা তাই বলিয়া আবার পরস্পর পরস্পর হইতে একান্ত পৃথক্ ও বিচ্ছিন্ন কখনও ছিল না, তাহারা একসঙ্গেই সর্ব্বদা চলিয়াছে।

 সমস্ত জীবনটি বিচিত্র রকমে নানা ভঙ্গীতে ফলাইয়া খেলাইয়া তুলিবার জন্যই ভারতে গড়িয়া উঠিল যত বিদ্যা, যত শাস্ত্র, তাহার চরম অভিব্যক্তি পাই এই শেষ যুগে। অশোকের সময় হইতে মুসলমানদের আগমনের অনেক পরে পর্য্যস্ত—এই সুদীর্ঘ কাল ব্যাপিয়া ভারতের সজাগ মস্তিষ্ক যাহা সৃষ্টি করিয়াছে, আর

২০