পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জুলাই, ১৯০৪ ] যদি আঘাত জন্ত হয় তবে সম্মুখ চেম্বারে পূয়যুক্ত স্রাব সঞ্চিত হয় । ইহাই হাইপোপিয়ন ( Hypopyon ) sitē ātēfBH Rfun Bē श्ध्र ! আইরাইটিসের সাধারণ প্রধান লক্ষণ বেদনা, আলোক অ সহতা, অশ্রুস্ৰাব, দৃষ্টি শক্তির হ্রাস, কণিয়ার পাশ্বের বর্ণ পরিবর্তন, আইরিসের বর্ণ পরিবর্তন, একোয়াসের অপরিস্কারত্ব, কনানিকার অসম ভাবে সঙ্কোচন, এবং দৈহিক ব্যাপক অসুস্থত । আইরিসের শোণিত বহার প্রবল রক্তাধিক্য এবং তজ্জন্ত সৌত্রিক বিধান সমন্বিত শ্রাব হওয়ার ফলেই ঐ সমস্ত লক্ষণ উপস্থিত হয় । উক্ত স্ৰাবই পীড়িত বৈধানিক পরিবর্তনের মূল কারণ । এবং ঐ স্রাবের প্রকৃতির উপরই পীড়ার নানা প্রকার পরিবর্তন নির্ভর করে । সামান্ত একটু স্রাব হইলে তাহ আইরিসে আবদ্ধ এবং সহজে শোষিত হইয়া যাইতে পারে । অধিক হইলে তাহ সম্মুখ চেম্বারে আসিয়া ক নীনি কায় লিপ্ত এবং সংযোগ বিধানে পরিবর্তিত হইয়া লেন্সের ক্যাপসুল এবং আইরিসের দৃঢ় সংযোগ সাধন করিতে পারে । প্রবল তরুণ পীড়ায় অত্যন্ত যন্ত্রণ হয় ; - সীমান্ত প্রকৃতির পীড় চারি কি ছয় সপ্তাহ মধ্যে আরোগ্য হইতে পারে, কিন্তু উপসর্গ সমন্বিত হইলে বহুকাল চিকিৎসা ন৷ করিলে পীড়া আরোগ্য হয় না । ষে সমস্ত উপসর্গ উপস্থিত হয় তন্মধ্যে নিম্নলিখিত কয়েকটা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করার উপযুক্ত । bia (Tension) of osol একটা اجع আইরাইটিস-নির্ণয় এবং চিকিৎসা । ! রোগের বৃদ্ধি হয় । ২৫৫ বিশেষ উপসর্গ। সাধারণ তরুণ অাই রাইটিসের পীড়ায় টেনশন বুদ্ধি নাও হইতে পারে। কিন্তু কখন কখন অত্যন্ত বৃদ্ধি হয়। রোগীর বয়স অধিক হইলে, গাউট ধাতু প্রকৃতি হইলে, কিম্ব কোরইড এবং সিলেয়ারী বডী প্রবল প্রদাহগ্ৰস্ত হইলে টেনশন বুদ্ধি হয় । এতৎসহ প্রবল বেদনা থাকে । এটে পিন প্রয়োগ ফলে এই বেদনার উপশম ন হইয়া বরং বৃদ্ধি হয় । এই উপসর্গ যুক্ত আইরাইটিস পীড়ার নাম কেহ কেহ গ্লোকোমেটাস অণই রাষ্টটিস বলিয়। উল্লেখ করিয়া থাকেন কিন্তু তাহ অত্যন্ত অন্যায়। কারণ, এই উভয় পীড়া—আইরা ইটিস এবং গ্লোকোমা পরম্পর সম্পূর্ণ বিভিন্ন প্রকৃতি বিশিষ্ট । একের যে চিকিৎসায় উপকার হয়, অপরের সেই চিকিৎসায় তজ্জন্ত এই উভয় পীড়ার নাম কখন একত্র সন্মিলিত হওয়া উচিত নহে । ভুল হইলে তাঁহাতে বিলক্ষণ অনিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা । রোগ নির্ণয়ে ভ্রম হইলে গ্লোকোমী পীড়ায় আইরাইটিসের চিকিৎসা করিলে চক্ষু নষ্ট হওয়ারই বিলক্ষণ সম্ভাবন।। তবে এই একটী বিশেষ সুবিধা ষে কনৗনিকার আয়তন ও আকার এবং সম্মুখ চেম্বারের গভীরতার প্রতি দৃষ্টি করিলে অতি সহজে আইরাইটিস এবং গ্লে’কেমি পীড়ার পার্থক্য নিরূপিত হইতে পারে । যদি কনীনিকা সঙ্কুচিত এবং তাহার কিনারা অসমান হয় এবং চেম্বার স্বাভাবিক কিম্বা গভীর হয় তবে সেই পীড়া আইরাইটিস এবং অপর পক্ষে কনীনিক যদি প্রসারিত হয় এবং একোয়াস চেম্বার অগভীর হয় তাঙ্গ হইলে টেনশনের