পাতা:ভীষ্ম - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S vā আমাকে উত্তেজিত করো না । মহানুভব গুরুজন গঙ্গাদত্ত চিরপবিত্ৰ শান্তনুনন্দন। তাঁর পিতৃতুল্য স্নেহেই আমি বৰ্দ্ধিত হ’য়েছি। কেশব ! ‘তাকে বিনাশ না ক’রে যদি ইহলোকে আমাকে ভিক্ষান্ন ভোজন ক’বৃতে হয়, তাও শ্রেয়ঃ । এমন পিতামহকে বধ করলে ইহকালেই আমাকে রক্তলিপ্ত অন্ন ভোজন করতে হবে । কৃষ্ণ । যুদ্ধাৱন্তে তোমার সমস্ত মোহ দূৱ ক’রে দিয়েছি। আবার তুমি ক্লীবত্ব অবলম্বন ক’রুলে ধনঞ্জয় ? হৃদয়ের দুর্বলতা পরিত্যাগ ক’রে ভীষ্মনাশে বদ্ধপরিকর হও । , ( যুধিষ্ঠির ও দ্রুপদাদি রাজগণের প্রবেশ ) যুধি। কৃষ্ণ ! পিতামহের বধোপায় যদি কিছু থাকে, আমাকে বল ; যদি না থাকে, তাহ’লেও বল। আমি, চারি ভাই ও দ্ৰৌপদীকে নিয়ে ম, আবার বনগমন করি । এরূপ ভাবে স্বজনক্ষয় আর আমি দেখতে পারি না। অর্জন মনোযোগ দিয়ে যুদ্ধ ক’রখে না। কেবল বৃকোদরের উপর আমার নির্ভর। কিন্তু পিতামহের সঙ্গে যুদ্ধে একক বৃকোদর আমার কি সাহায্য করবে ? দ্রু। এরূপ যুদ্ধ আর একদিন হ’লে আর পাণ্ডবের যুদ্ধজয়ের আশা शं न । বিরাট । এরই মধ্যে আমি একরূপ নিৰ্ব্বংশ হ’য়েছি। আমার পুত্ৰ উত্তর ও শ্বেত উভয়েই প্ৰাণবিসৰ্জন দিয়েছে। মৎস্যরাজ্যের প্রতিনিধি এখন একরূপ আমি । দ্রু। যদি বুঝতে পারেন বাসুদেব, ভীষ্মেন্ন সংহার হবে না, তা হ’লে এই আত্মীয় রাজাদের বংশলোপ করে ফল কি ? বুধি। বল কৃষ্ণ, শীঘ্ৰ আমাকে ভীষ্ম বধের উপায় বল ? ( শিখণ্ডীর প্রবেশ ) শি। উপায় . ত আমি-সর্বদাই আপনাদের সন্নিকটে উপস্থিত