পাতা:মণিমালিনী.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অঙ্ক । \לכ একই। সেই মণিমালিনীই বটে। প্রিয়ে ! আমি তোমার-আমি তোমার-আমি তোমার সেই বীরভূষণ । (অগ্রসর) মণি । বীরভূষণ ! বীরভূষণ ! আমারই হৃদয়ের বীরভূষণ । বীর—(মুচৰ্ছী) বীর । মণিমালিনি ! প্রিয়তমে ! প্রাণাধিকে ! আমি তোমারই আমি তোমারই –(মুচ্ছ) জয় । ছায় ছায় কি হলো ! দুজনেই যে অচৈতষ্ঠ হলেন ! আমি কেমন করে রক্ষা করি, ছায় হয় ! মুখের মিলনের কি এই পরিণাম । মহীধরের প্রবেশ । মহী । এই তো বীরভূষণই বটেন ! একি—এদিকে মণিমলিনী! কি আশ্চৰ্য্য ঘটনা ! অাশার অতিরিক্ত। মণিমালিনা কি এত দিন জীবিত আছেন ? মণিমালিনী— প্রতাপ । (চেতন পাইয়া) কৈ কৈ আমার মণিমালিনী কৈ ? আমার প্রাণেশ্বরী কৈ ? কোথায় আমার প্রাণাৰিক প্রণয়িনী মণিমালিনী কোথায় । মণিমালিনী আজও জীবিতা ! এ কথা আমার বিশ্বাস ছয় না ! দেখি, ভাল করে দেখি ।– দেখিয়া ) সত্যই তো! আমার দৃষ্টি বিভ্রম নয়। আমার মণিমালিনী— আমার প্রাণের মণিমালিনী। প্রিয়ে চকু মেলে দেখ–তোমার বীরভূষণ সন্মুখে উপস্থিত। তোমার স্বামী সম্মুখে উপস্থিত। মণি । ( চেতন পাইয়া ) এই কি পিতার ধৰ্ম্ম । এই কি পিতার কৰ্ম্ম । আমার স্বামী কোথায় ? তিনি স্বগে ! আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, জয় প্রকাশকে বিবাহ করবো না—তথাপি তোমরা জোর করবে !