পাতা:মণিমালিনী.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

No o মণিমালিনী । ধারি না । গুৰুমহাশয়ের পাঠশালে কখন শৰ্ম্ম পদার্পণ করেন মাই। ঐ যে এক খোসামোদ কর। বিদ্যা অভ্যাস করেছিলেম, তাতেই অনায়াসে দিন গুজরান হয়ে যাচ্যে –কোন চিস্ত। নাই। ঐ জোরেতেই বাড়ী ঘর দ্বোর করেছি, ব্রাহ্মণীর দশ খান অলঙ্কার প্রতীকার ও ছয়েছে—দশ টাকা সংস্থান ও করেছি। এ কি বিদ্যার জোর নয়! লেখা পড়া না জেনে—গুৰু মহাশয়কে পয়সা না দিয়ে—আর চুরি ডাকাতি না করে—সৎপথে থেকে দশ টাকা রোজগার সহজ. ব্যাপার নয় । কারে ক্ষমতা আছে-- কর দেখি বাবা, তবে বলি যে মানুষ, বুদ্ধি শুদ্ধি আছে । আমরা যদি লেখা পড়া জানৃন্ডেম ভবে কি আর রক্ষা থাকতো ? দেশে পয়সা রাখভেম না। আবার তা ও বলি --ভাল লেখা পড়া জাম্লে এ সিদ্ধকারী বিদ্যাট ও এমন অভ্যাস ছতো না । একি সামান্য বিদ্যা । হঠাৎ কেউ যে এ বিদ্যায় হাত দেখাবেন তার জো নাই। রাজা বলেন 'জল উচু ;– আমি অমনি বল্যেম আজ্ঞা উচু বৈ কি-প্রায় তিন ছাত তের পোয়। উচু হবে ।" রাজ বলেন ‘না ছে জল নীচু",–আমি অমনি বল্যেম ‘আজ্ঞ নীচুই তো । নীচু বলে নীচু—যেন কুয়ার মত দেখচেন না ! রাজা বল্যেন ‘রং লাল”—আমনি আমি বল্যেম আজা' । এই যে আজ্ঞ বলাটী, এ বড় শক্ত। যাদের অভ্যাস নাই তার কখনই পারবে না –বে মুরো ছয়ে যাবে। প্রশ্ন যেমন সুরে হবে—উত্তরটা ঠিক সেই মুরে না ছলে কখনই ভাল লাগবে না । ৰখন বলবে—‘রং—লা—ল, অমনি উত্তর দিতে হবে ‘মা—জ্ঞা । সে সময় ‘আড্ডা’ শব্দটী ফুস করে বল্যে ভাল লাগবে না। এ সকল বি শেষ অভ্যাসের কাজ । ষাকৃ সে সব কথা বাকৃ—এখন একবার মহারাজ এলে হয়, তা হলেই এক ছড়া চিকের কাজ করে