পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८° ‰ २८ऊ বিমল বল্লে-আমি ওকে এ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে দিচ্ছি। বড় বরেন্স হয়েছে, এতখানি পথ ছুটোছুটি করে এসে হঁাপিয়ে পডেছে ! দুজনে ওকে ধরাধরি করে গাড়ীতে এনে ওঠালে। এক জায়গায় একটা গৃহস্থ পরিবারের ঠিক এই অবস্থা ৷ গৃহিণীর বয়েস প্ৰায় ত্ৰিশ বত্ৰিশ, সাত আটটা ছেলেমেয়ে, সকলের ছোটটা দুগ্ধপোষ্য শিশু, বাকী সব দুই, চার, পাচ, সাত এমনি বয়েসের । সঙ্গে একটীিও পুরুষ নেই। ওরাও হঁটিতে না পেরে বসে পড়েছে। জিজ্ঞেস করে জানা গেল বাড়ীর কৰ্ত্তা জাহাজে কাজ করেন-জাহাজ আজি কুড়ি দিন হোল বন্দর থেকে ছেড়ে গিয়েছে। এদিকে এই বিপদ ! কাজেই মা ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন বাঙী থেকে-কোথায় যাবেন ঠিক নেই । এদের অসহায় অবস্থা দেখে বিমলের খুব কষ্ট হোল। কিন্তু তার কিছু করবার নেই ; কত লোককে সে হাসপাতাল গাড়ীতে জায়গা দেবে? সেদিন সহরের এমন ভয়ানক অবস্থা গেল যে কে কার খোজ রাখে । মিনি ও এ্যালিসের উদ্ধারের কোন চেষ্টাই হোল না । সারা দিনরাত এমনি করে কাটুলো । রাত্রি শেষে জাপানী নৌসেনা সাংহাই সহরের দক্ষিণ অংশ অধিকার করলে । বিমল ও সুরেশ্বর তখন হাসপাতালে । ওরা কিছুই জানুতো না । তবে ওরা এটুকু বুঝেছিল যে অবস্থা গুরুতর ( সারারাত্রি ধরে জাপানী যুদ্ধ-জাহাজ থেকে গোলা বর্ষণ করলে ৷ বোমারু প্লেনগুলোর তেমন আর দেখা নেই, কারণ সহ্যর প্রায় জনশূন্য । পথে ঘাটে লোকজনের ভিড় নেই বললেই চলে । রাত তিনটে । এমন সময় ওয়ার্ডের মধ্যে কয়েকজন সশস্ত্র সৈন্য Pd