পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3፲፭C°i፭ VUቕ፲ ቕfረtኝ করছে সৈন্যদের । চীনা দুটী সৈন্য নয়, সাধারণ নাগরিক, বিমল ওদের দেখেই বুঝলে । একটু পরেই জাপানী অফিসারটা কি একটা আদেশ দিয়ে হাত নেড়ে চীনা দুটাকে সরিয়ে নিয়ে যেতে বল্পে } জাপানী সৈন্যেরা তাদের টেনে নিয়ে গিয়ে মাঠের ওদিকে যে বাড়ীটা তার দেওয়ালের গায়ে নিয়ে দাড় করালে । চীনা লোক দুটীর মুখে বিস্ময় ফুটে উঠেছে-তারা কলের পুতুলের মত জাপানীদের সঙ্গে চললো বটে, কিন্তু তাদের চোখের অবাক ভাব দেখে মনে হয় তারা বুঝতে পারেনি কেন তাদের দেওয়ালের গায়ে ঠেস gि g काgभ} श्(प्रछ । বিমল ও প্রথমটা বুঝতে পারেনি, সে বুঝলে-যখন দশজন জাপানী সৈন্যের সারি এক যোগে রাইফেল তুল্লে। একটা তীক্ষ্ণ, স্পষ্ট, সামরিক আদেশ বাতাস চিরে উচ্চারিত হোল, সঙ্গে সঙ্গে দশটি রাইফেলের একযোগে আওয়াজ । বিমল চোখ বুজিলে । যখন সে চোখ চাইলে, তখন প্ৰথমই যে কথা তার মনে উঠলো স্থান ও অবস্থা হিসেবে সেটা বড়ই আশ্চর্য্যের ব্যাপার বলতে হবে । তার সর্বপ্রথম মনে হোলি-জাপানী রাইফেলের ধোবা তো খুব বেশী হয় না ! কেন একথা তার মনে হলো এই নিশ্চিত মৃত্যুর সম্মুখীন হয়ে—জীবনের এই ভীষণ সঙ্কটমষ মুহূৰ্ত্তে, কে তা বলবে ? তারপরই বিমল দেওয়ালের দিকে চেয়ে দেখলে চীনা দুটা” উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে । দুজন জাপানী সৈন্য তাদের মৃতদেহের পা ধরে হিচড়ে টেনে একপাশে রেখে দিলে। তারা পাশাপাশি পড়ে রইল এমন ভাবে দেখে বিমলের মনে হোল ওরা কোনো ঠাকুরের সামনে উপুড় হয়ে প্ৰণাম করছে । 0 st