পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८० || २अ -বলেই সে বাইরে চলে গেল। বেশী কথা বলে না। এদেশের লোক । বিমল তাড়াতাড়ি কামরার বাইরে এসে দেখলে সামনে এক অদ্ভুত ব্যাপার । নবাগত বোম্বেটে জাঙ্কখানা কঠিন প্ৰস্তরময় ডাঙায় ধাক্কা খেয়ে জখম হয়েচে । আর অল্প দূরেই সমুদ্রবক্ষে এমন একটা অদ্ভুত দৃশ্য দেখলে যা জীবনে কখনো দেখেনি । আকাশ থেকে কালো মোটা থামের মত একটা জিনিষ নেমে সমুদ্রের জলে মিশে গিয়েছে- সে জিনিষটা আবার চলনশীল-হালকা রবারের বেলুন বা ফানুষের মত অত বড কালো মোটা থামটা বায়ুর গতির সঙ্গে ধীরে উত্তব থেকে দক্ষিণে ভেসে চলেছে। এই সময় সুরেশ্বর ও জাঙ্কের সারেং এসে ওদের পাশে দাড়ালো । সারেং বল্লে—উঃ কত বড জোড়া জলস্তম্ভ, মিষ্টার । চীন সমুদ্রে প্রায়ই জলস্তম্ভ হয় বটে, কিন্তু এমন জোড়া জলস্তম্ভ আমি জীবনে কখনো দেখিনি ! ঐ জলস্তম্ভটা আজ আমাদের বঁচিয়ে দিয়েছে ! ঐ কালে মোটা থামের মত ব্যাপারটা তাহলে জলস্তম্ভ । ছবিতে দেখেছে বটে, কিন্তু বিমল বা সুরেশ্বর জীবনে এই প্ৰথম জিনিসটা দেখলে । কিন্তু ব্যাপারটা এখনও ওরা ঠিকমত বুঝতে পারে নি । জলস্তম্ভ ওদের জীবন বঁাচালে কি করে ? বেশী দেৱী হোল না ব্যাপারটা বুঝতে, যখন ওরা দেখলে এই অল্প সময়ের মধ্যেই সুদক্ষ সারেং নোঙর উঠিয়ে জাঙ্কখানা ডাঙা থেকে প্ৰায় একশো গজ এনে ফেলেছে এবং প্ৰতি মুহুর্তেই তীর ও সমুদ্র উভয়ের ব্যবধান বাড়ছে। সারেং ও মাঝিদের মুখে শোনা গেল এই জলস্তম্ভের জোড়াটি দ্বীপের অদূরে ভেঙে গিয়ে বিপুল জলোচ্ছাসের সৃষ্টি করেতাতে বোম্বোটেদের জাঙ্কখানাকে উৰ্দ্ধে, উঠিয়ে সবেগে আছড়ে মেরেছে VOKS