পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भद्धge ७क्षों वांछ ভীষণ গোলাবর্ষণের শব্দ আসছে-সাংহাই সহরে জাপানী যুদ্ধ জাহাজ ও এরোপ্লেন থেকে একযোগে গোলা ও বোমা বৃষ্টি হচ্ছে । সঙ্গে সঙ্গে সাংহাই সহর থেকে দলে দলে স্ত্রী পুরুষ ছেলেমেয়ে পালিয়ে আসছে কনশেসনে, বাক্স তোরঙ্গ পোটলা পুটলি নিয়ে, ছোট, ছোট ছেলেমেয়েদের হাত ধরে। এদের সবারই মুখে ভীষণ ভয়ের চিহ্ন-এদের চক্ষু উদ্বেগে ও রাত্রি জাগরণে রক্তবর্ণ, চুল রুক্ষ ; পাশবি বলের কাছে মানুষের কি শোচনীয় পরাজয় ! বেলা দশটার মধ্যে ব্রিটিশ কনশেসনের হাসপাতাল ও মার্কিন রেডক্রশের বড় হাসপাতাল আহতের ভিড়ে পরিপূর্ণ হয়ে গেল । কি ভীষণ আওয়াজ গোলমাল পেনসু প্রাচীরের দিকে, সমুদ্রের থেকে মাইল দুই দূরে পূর্ব কোণে । সেখানে চীনা টেন্থ রুট আৰ্ম্মির সঙ্গে জাপানী সৈন্যদের যুদ্ধ চলছে। কনশেসন থেকে যুদ্ধস্থলের দূরত্ব । প্ৰায় তিন মাইল, বিমল জিজ্ঞেস করে জানলে । এ ছাড়াও গোলাবর্ষণ চলছে সহরের বিভিন্ন স্থানে । টেলিফোনে অর্ডার এল মেডিকেল ইউনিটের বড় ডাক্তারের কাছ থেকে-বিমল, সুরেশ্বর, এ্যালিস ও মিনিকে চ্যাংলীিন এভিনিউতে চীনা সামরিক হাসপাতালে যাবার জন্যে । ওরা আমেরিকান রেডক্রশ মোটরে সামরিক হাসপাতালের দিকে ছুটলো। ড্রাইভার খুব বড় একটা রেডক্রশ পতাকা গাড়ীর কাটে, উড়িয়ে দিলে-এ ছাড়া গাড়ীর ছাদের বাইরের পিঠে সারা ছাদ জুড়ে একটা প্ৰকাণ্ড লাল ক্রস আঁকা। এত সাবধানতা সত্ত্বেও ড্রাইভার বলে-যদি আপনারা, হাসপাতালে পৌছুতে পারেন, সে খুব জোর বরাত বুঝতে হবে আপনাদের ।