পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८०३ || ८अ ফেলা হয়েছে যে কোথাও এতটুকু জায়গা নেই। এদের বেশীর ভাগ স্ত্রীলোক ও বালক বালিকা । যুদ্ধের সৈন্যও আছে- তবে তাদের সংখ্যা তত বেণী নয় । একটা দশ এগারো বছরের ফুটফুটে সুন্দর মুখ বালকের একখানা পা একেবাবে গুড়িয়ে গিয়েছে। --আশ্চর্য্যের বিষয় ছেলেটি তখনও বেঁচে আছে এবং কিছুক্ষণ আগে অজ্ঞান হয়ে থাকলেও এখন তার জ্ঞান হয়েছে এবং যন্ত্রণায় সে আৰ্ত্তিনাদ করছে। বিমলের ওয়ার্ডেই সে বালকটি আছে। এ্যালিস সেই ওয়ার্ডেই নাস । এ্যালিস পেশাদার নাসর্ণ নয়, বয়সেও নিতান্ত তরুণী, চোখে জল রাখতে পারলে না ছেলেটীর যন্ত্রণ দেখে । বিমলকে বল্লে একে মরফিয়া খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে না ? বিমল বল্লে—তা উচিত হবে না। ওকে এখুনি ক্লোরোফৰ্ম্মে অজ্ঞান করে পা কেটে ফেলতে হবে । অপারেশন টেবিল একটাও খালি নেই, সব ভক্তি। একটা টেবিল খালি পেলেই ওকে চড়িয়ে দেবো । এ্যালিস বালকটির শিয়ারে বসে কতরকমে তাকে সাস্তুনা দেবার চেষ্টা করলে-কিন্তু ওদের সবারই মুস্কিল চীনা ভাষা সামান্য এক আধটু বুঝতে KDBD DDBSBDD BDBKLB DS সুরেশ্বর হাসপাতালের ঔষধালয়ে সহকারী কম্পাউণ্ডার হয়েছে। সে দুখানা চীনা বর্ণপরিচয় কোথা থেকে যোগার করে এনে ওদের দিয়েছে। এ্যালিস বল্পে -সুরেশ ঠিক বলছিল। সেদিন, এসো তুমি, আমি মিনি ভালো করে চীনে ভাষা শিখি, নইলে কাজ করতে পারবো না আৰ্ত্ত বালকাটীর শয়নশিয়রে এ্যালিসকে যেন করুণাময়ী দেবীর মতো VV»Gʼ