পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার ল্যাজ । হায় ! কি সৰ্ব্বনাশ হইল! কে তঁহার কন্যাকে মৃত্যুমুখ হইতে উদ্ধার করিবে ? চৌকীদারেরা প্ৰাণপণে আগুন নিভাইবার চেষ্টা করিতেছিল, কিন্তু কোনও ফল হইল না । বাতাস প্রবলবেগে বহিতে লাগিল। উন্মত্ত দৈত্যের ন্যায় অগ্নি লোলরিসন বিস্তুত করিয়া দিকে দিকে ধাবিত হইল । কেহই সাহস করিয়া দারোগ বাবুর কন্যার উদ্ধার-সাধনের জন্য প্ৰজ্বলিত অনলকুণ্ডে প্ৰবেশ করিতে সাহসী হইল না । বৃদ্ধ চীৎকার করিয়া কঁাদিতে লাগিলেন। হে ভগবান! হে অনাথিনাথ -আজ বিশ বৎসরের মধ্যে নটাবর ভগবানের নাম মুখে আনেন নাই !-রক্ষা কর, প্ৰভু ! বৃদ্ধের নয়নমণি, জীবনের একমাত্র অবলম্বনকে বাঁচাও ! সহসা প্ৰচণ্ড অগ্নির শব্দ, চৌকিদার ও কনষ্টেবল প্ৰভৃতির কোলাহল মথিত করিয়া পশ্চাতে একটা ঝনঝনি রব উখিত হইল। সঙ্গে সঙ্গে ‘বন্দেমাতরম ধ্বনিতে গগনমণ্ডল প্ৰতিধ্বনিত হইতে লাগিল। বিস্ময়মুগ্ধ চৌকিদারেরা দেখিল আদ্যকার অভিযুক্ত যুবকগণ কারাকক্ষের বাতায়ন ভগ্ন করিয়া বাহিরে আসিয়া দাড়াইয়াছে রামজীবন পাড়ে, গোবৰ্দ্ধন মিছির প্রভৃতি কনষ্টেবল তাঁহাদের গতিরোধ করিয়া ॉांङ्क्षेळ । রমেশ বলিলেন, “বাপু ! থামো। আমরা পলাইতেছি। না। সে ইচ্ছা থাকিলে তোমরা এই কয় জনে কি আমাদের বাধিয়া রাখিতে পারিতে ? দেখছি না, তোমাদের সামনে SSS)