পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিষ্ঠা । “কোথায় যাইতেছ। হরেন ?” চির পরিচিত কণ্ঠস্বরে হরেন্দ্ৰ ফিরিয়া চাহিল। তাহার প্রিয় বন্ধু সতীশচন্দ্ৰ শামলা মাথায় কোর্টে যাইতেছিলেন। “তোমার কি এখনও স্নানাহার হয় নাই ?” মেঘস্তম্ভিত আকাশ বায়ুৱ স্পন্দনমাত্রেই প্ৰবল ধারায় ধারণী ভাসাইয়া দেয়। বন্ধুর সস্নেহ প্রশ্নে বহু চেষ্টাতেও হরোন্দ্রের চক্ষে অশ্রদ্ধারা বাধা মানিল না । সে মুখ ফিরাইয়া লইল । বন্ধুর হাত ধরিয়া সতীশচন্দ্ৰ তাহার গৃহে ফিরিলেন । বিশ্রামান্তে সকল ঘটনা শুনিয়া সতীশচন্দ্ৰ বলিলেন, “রেঙ্গুনে যাবে? আমার বিশেষ পরিচিত একটী সাহেব রেঙ্গুনে চাউলের কারবার করিতেছেন। তঁহার একজন বিশ্বস্ত বাঙ্গালী সহকারীর প্রয়োজন। যাবে ?” রেঙ্গুন ! অর্থের জন্য এখন ল্যাপল্যাণ্ডে, এমন কি পৃথিবীর শেষ সীমায় যাইতে সে প্ৰস্তুত। সে টাকাকে আয়ত্ত করিতে চায়। যে অর্থের গৌরবে মানুষ মানুষকে অবহেলায় চরণে দলিত করিয়া চলিয়া যায়, সে সেই চক্রাকার রাজতখণ্ড সমুহের সম্রাট হইতে চায় ! হরেন্দ্ৰ বলিল, “তুমি ত জান, কাজের মধ্যে দাদার ব্যবসার কাৰ্য্যটাই জানি, আর এতকাল কেবল কাব্যের আলোচনাই করিয়াছি। কিন্তু কাব্যবৃক্ষের ফল যতই সুধাসিক্ত হউক না কেন, তাহাতে উদরের জালা জুড়াইবার কোনও সম্ভাবন। وي؟