পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিষ্ঠা । ক্রুদ্ধস্বরে গৃহমধ্য হইতে প্ৰহারকারী বলিল, “যাক না, লুড় যাবে কোথায় ? তুমি শুয়ে থাক, ঠাণ্ড লাগিও না মা ! পেটের জ্বালায় এখনি ফিরে আসতে হবে।” পথিপাশ্মস্থ গ্যাসের উজ্জ্বল আলোক লাঞ্জিত বৃদ্ধের মুখের উপর পড়িল । তাহার মলিন, ছিন্ন প্রাম পবিধেয় বৃষ্টিসিক্ত, কৰ্দমাক্ত ! শীর্ণ মুখমণ্ডল বৃক্তশূন্য । হরোন্দ্রের হল ২পি গুটি সেনা অজ্ঞাত বেদনাভারে সাহস। আকুল হইয়া উঠিল। “বাবা, বাবা, রাগ করে যে ও না, তোমার পায়ে পড়ি বাবা, ফিলে এসো !” বলিতে বলিতে একটি বালক ছুটিযা আসিয়া বুদ্ধের মস্তকে একটা ছাতি পুলিয়া ধৰিল ; একখান। ছিন্ন কম্বল সৰ্ব্বাঙ্গে জড়াইয়া দিল । তারপর হাত ধরিয়া ব্যাকুলভাবে বালক বলিল, “এই সে দিন জম্বর থেকে উঠেছ, বাবা । এখনি আবার ঠাণ্ড লেগে জল আসবে। ফিরে এস বাবা ।” হরেন্দ্ৰ চমকিয়া উঠিল । এ যে তাহার প্রেসের সেই কম্পোজিটার বালকের কণ্ঠস্বর ! অন্ধকারের দিকে হরেন্দ্ৰ সরিয়া দাড়াইল । তাহার সমস্ত দেহ এরূপ ঘন ঘন কম্পিত হইতেছে কেন ? রোরুদ্যমান বৃদ্ধ পুত্রের হাত ধরিয়া বলিল, “না। বাবা, আর আমি ফিরে যাব না । তুমি বৃষ্টিতে ভিজো না, যাও, ঘরে যাও । তোমার দাদা জানিতে পারলে এখনি তোমায় چو با