বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩৮. মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। প্টাথরকে দেখিয়া সাষ্টাঙ্গে প্ৰণাম করিলেন এবং করযোড়ে পুর্থন। করিলেন ;- “আমার যেন বৃন্দাবন দর্শন সার্থক হয় ।” গোসাইজী বৃন্দাবনে ছয়মাসকাল অবস্থান করিয়া নানা শ্রেণীর সাধুসজ্জনের সঙ্গে ধৰ্ম্মালাপ ও সাধন ভজনে যাপন করেন। “যখন বৃন্দাবনে ছিলেন তাহার ভগবদ্যুভক্তি দর্শনে বৈষ্ণবগণ র্তাহার প্রতি বড়ই আসক্ত হইয়াছিলেন । গৈরিক বসন পরিধান করা এবং রুদ্রাক্ষাদি মাল্যধারণ করা বৈষ্ণবসাধারণের অনুমোদিত নহে। তঁহার ঐরূপ পরিচ্ছদাদির যাহাতে পরিবাৰ্ত্তন হয়, বৈষ্ণবগণের এইরূপ ইচ্ছা হইল। ভক্তপ্রবর ৬/ গৌর শিরোমণি মহাশয় সাধারণের প্রতিনিধি হইয়া তাহার নিকট এই প্রস্তাব উত্থাপন করিলেন। গোঁসাইজী বলিলৈন ;—“আপনি কি বলেন যে বেশ পরিবর্তন না করিলে আমার বৈষ্ণবধৰ্ম্ম লাভ হইবে না ?” শিরোমণি মহাশয় বলিলেন;-“এরূপ কথা আমি বলিতে পারি না ।” তিনি বলিলেন ;-“তবে লোকের কথার জন্য আমি কিছু পরিবর্তন করিতে পারি না।” বস্তুতঃ জীবনের আদি হইতে অন্ত পৰ্য্যন্ত তিনি কখনও মানুষের মুখ চাহিয়া চলেন নাই। অথচ তঁহার ন্যায় মানবপ্ৰেমিক, বন্ধুবৎসল ও মিষ্টভাষী কে ছিল ? একদিন বৃন্দাবনের কয়েকজন প্ৰসিদ্ধ বৈষ্ণব তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আসিবেন। এরূপ স্থির হয়। সকালে ৮টার পূর্বেই তাঁহাদের আসিবার কথা ছিল । তঁহাদের আসিতে বিলম্ব হওয়ায় তিনি কারণ, জিজ্ঞাসা করিলেন ; একজন শিষ্য বলিলেন যে “* * মহাশয় ঊর্তাহদিগকে একটু বিলম্বে আসিতে বলিয়াছেন। কারণ আপনি এই সময় ১ চা খাইয়া থাকেন । * * মহাশয় ভাবিয়াছেন যে বৈষ্ণবগণ সকাল বেলায় আপনাকে চ * খাইতে দেখিলে হয়ত অবৈষ্ণব মনে করিবেন : * কোন উদাসীন শিষ্য বলিয়াছেন ;-“তিনি প্রাতে তিলক না কাটিয়া চা পান