পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহা প্রয়াণ వ(t" সভার দিন ঠিক সভার সময় সহসা দেখা গেল একদল হিন্দুস্থানী গুণ্ডা সভার কাৰ্য্যে যোগদান করিবার ওজুহাতে তথায় আসিয়াছে । সভার কার্য্য আরম্ভ হইবার সময় আরও দেখা গেল আমাদের দেশের হিন্দুধৰ্ম্মের তথা কথিত কয়েকজন নেতা শ্ৰীযুক্ত লতিকা বসু প্রভৃতি কয়েকজন মহিলা নেত্রী সমভিব্যাহারে সভার স্থানে উপস্থিত হইয়াছেন। পণ্ডিত জহরলালও সভাক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন। পণ্ডিত শু্যামসুন্দর সভার কার্য্য আরস্ত করিবার প্রস্তাব করিলে নানা দিক হইতে নানা প্রকার অপ্রীতিকর মন্তব্য প্রকাশ আরম্ভ হয় । তাহার পর সভায় যে লজ্জাকর ঘটনা হয় তাহা প্রকাশ করিয়া জাতির কলঙ্ক প্রচার করা কৰ্ত্তব্য নহে বলিয়া তাহার আর উল্লেখ করিলাম না । এই কলঙ্কের কাহিনী যত অপ্রকাশ থাকে বাঙ্গালীর পক্ষে ততই মঙ্গল । যাহা হৌক কতকগুলি তথাকথিত সংস্কার প্রয়াসী উদ্ধত যুবকেরা উত্তেজনা স্থষ্টি করিয়া সভাপতির মর্য্যাদার কথা পৰ্য্যস্ত বিস্মৃত হইয়া যান। যে পক্ককেশ, উন্নতমনা, ত্যাগী দানবীর নৈষ্ঠিক হিন্দু রাজর্ষি বাঙ্গলার শুধু বাঙ্গলার নহে সমগ্র ভারতের জন্য সৰ্ব্বস্ব হারা হইয়াছেন—জাতির মৰ্ম্মবেদনায় র্যাহার অবিরল নয়নাশ্র প্রবাহিত হইত, সেই মহাপুরুষকে এতটুকু সম্মান করিবার মত শক্তি যে কাহারও ছিল না ইহা বড়ই অনুতাপের বিষয় ! আজ আমাদের বলিতে হইতেছে টাউন হলের সভায়