রবীন্দ্রনাথের চিঠী শান্তিনিকেতন পরলোকগত উদার চরিত্র মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ট পরিচয়ের যথেষ্ট সুযোগ ঘটেনি। লোকহিত ব্যাপারে তার অকুষ্ঠিত দক্ষিণ্যের সংবাদ সকলেই জানে, আমিও জানি । প্রত্যক্ষভাবে আমি তার একটি পরিচয়ও পেয়েছি । শান্তিনিকেতন আশ্রমের পণ্ডিত হরিচরণ বিদ্যারত্ব দীর্ঘকাল একান্ত অধ্যবসায়ে বাংলা অভিধান সঙ্কলনে প্রবৃত্ত। এই কাৰ্য্যে যাতে তিনি নিশ্চিস্ত মনে যথোচিত সময় দিতে পারেন সেই উদ্দেশে মহারাজ তাকে বহুবৎসর যাবৎ মাসিক অর্থ সাহায্য করে এসেচেন । এই কাৰ্য্যের মূল্য তিনি বুঝেছিলেন এবং এর মূল্য দিতে কিছুমাত্র দ্বিধা করেন নি। লক্ষ্মীর প্রসাদ তিনি পেয়েছিলেন,—সেই প্রসাদ অজস্র বিতরণ করবার দুর্লভ শক্তি তার ছিল। তার সেই ভোগাশক্তিবিমুখ ভগবৎপরায়ণ নিরভিমান মহদাশয়তা বাঙালীর গৌরবের কারণ রূপে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১.০ আগ্রহায়ণ ১৩৩৬ স্ত্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( উপাসনা হইতে গৃহীত )