পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী > * বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করায় সরকার দশ বৎসর মণীন্দ্রচন্দ্রের প্রতি বিরূপ ছিলেন । কিন্তু তিনি ভীত হয়েন নাই । দেশের লোকের কল্যাণের জন্ত তিনি আপনি ঋণ করিয়াও দান করিয়াছিলেন। যাহারা আজ বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব বিষয়ক আইনে প্রজাপক্ষ বলিয়া আপনাদিগকে পরিচিত করিতেছেন, তাহারা যদি একটু ধৈর্য ধরিয়া প্রজাকে জমা হস্তাস্তর করিবার প্রস্তাবের আলোচনা করেন, তবে দেখিতে পাইবেন, মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র, স্বয়ং জমীদার হইয়াও প্রজাকে সে অধিকার প্রদান করিবার ও জমাদারের সেলামী সঙ্কোচ করিবার পক্ষে মত প্রকাশ করিয়াছিলেন। তাহার বহুদিন পরে যে আইন বিধিবদ্ধ হইয়াছে, তাহাতে প্রায় তাহার মতই গৃহীত হইয়াছে। দেশের লোকের পক্ষ ত্যাগ করিয়া সরকার পক্ষ গ্রহণ করিলে তিনি ৭০ বৎসর বয়সে কেবল “মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী কে, সি, আই, ই” থাকিতেন না ৮ পরস্তু তদপেক্ষা অনেক অধিক উপাধির ভার তাহার স্বন্ধে ন্যস্ত হইত। মণীন্দ্রচন্দ্রের ধৰ্ম্মমত অসাধারণ উদার ছিল । তিনি যে মাতামহের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইয়াছিলেন, সেই মাতামহের বংশ বৈষ্ণবমতাবলম্বী। তিনি স্বয়ং বৈষ্ণব মতের প্রচার কল্পে যথেষ্ট সাহায্য করিয়া গিয়াছেন । কিন্তু তিনি জানিতেন—“অভেদে যে জন ভজে সেই ভক্ত বীর।” তাহার কাছে শুনিয়াছি, তাহার মাতামহ বংশ এমন গোড়া বৈষ্ণব ছিলেন যে, শৈব বা শাক্তমত সহ করিতে পারিতেন না ; তাহাদিগের মধ্যে একজন বৃন্দাবন যাত্রাকালে আদেশ দিয়াছিলেন, নৌকার প্রহরীরা দূর হইতে কাশীর “বেণীমাধবের ধ্বজা” দেখিতে পাইলেই যেন তাহার কক্ষের পর্দা ফেলিয়া দেয়—তিনি কণশী দেখিবেন না, আর মহারাজা কলিকাতায় বৌদ্ধদিগের বিহার নিৰ্ম্মাণ জন্ত ভূমিখণ্ড দান করিয়াছিলেন । তবে তিনি স্বয়ং স্বধৰ্ম্মনিষ্ট ছিলেন । হিন্দুশাস্ত্রনির্দিষ্ট কাৰ্য্য তিনি