পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী ❖ዓ মুখের দিকে চেয়ে মহারাজা বললেন—“তাইত হে, বড় দেরীতে এসেচ, সে সব ব্যাপার যে এক মাস আগে হয়ে গেছে ।” কোন কথারই জবাব মুখে এল না । “আচ্ছা তোমার চিঠি থাকৃল আমার কাছে, সময় হ'লেই খবর দেব ।” সে খবর পেতে আমার দীর্ঘ দিন লেগেছিল, কারণ আমি জানতে পেরেছিলাম স্বৰ্গীয় অধ্যাপক যজ্ঞেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিকট থেকে । জনৈক স্বার্থপর রাজকৰ্ম্মচারী নিজের মনোনীত ছাত্রের জন্ত মহারাজকে বলেছিল —“আমার অবস্থা খুব স্বচ্ছল, ছোটখাটো জমিদারীও নাকি আছে’ ইত্যাদি। — কিন্তু কি জানি মহারাজ সে কথা তেমন বিশ্বাস করেন নি, তিনি আমার বিষয় অনুসন্ধান করে যখন জানতে পারলেন বাস্তবিক আমাকে বিদ্যা দান করা-অপাত্রে পড়বে না—তখনই আমার ‘ফ্রি বোর্ডিংএর আদেশ হ'য়ে গেল। অমিকে একথান দরখাস্ত পর্য্যস্তও করতে হল না । দীর্ঘকাল তারই দানে যা কিছু শিখেছি, আজ তার সামান্ত একটু কাজেও যে লাগাবার সৌভাগ্য হ’ল এজন্য সেদিন একটু তৃপ্তি অনুভবও করেছিলাম । গাড়ী সমানভাবে চলছে, আমাদের নানা বিষয়ের কথাও চলছে । মহারাজী হঠাৎ বলে উঠলেন –“খাসা অন্ধুরী তামাকের গন্ধ আসছে, পাশের কামড়া থেকেই বোধ হয়। বাবুদের ‘টেষ্ট ভাল।” বলা বাহুল্য পাশের কামরাতে যারা ছিলেন র্তারা আমাদেরই লোক । গাড়ীর দুলানিতে হেমন্তদা ঢুলছেন, মৃদুহাস্তে মহারাজা সেইদিকে চাইছেন আর নিঃশব্দে আমাকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন—এ ষে রেলগাড়ীতে কতবার হয়েছে তার আর ঠিক নেই। ৪৮ ঘন্টার উপর রেলগাড়ীতে যাত্রা, যে কয়বার আমরা যা কিছু খেলাম – তার খবরদারী २