পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী 戈@ দীর্ঘ বনপথ, পাথর আর কাকরে ভরা—বাস থেকে পথে নেমে অবধি মহারাজার মুখমণ্ডলের উপর যেন শোকের গভীর ছায়া ঘনিয়ে আসতে লাগল। মুখে বার বার হরিধৰনি করতে লাগলেন। পথিমধ্যে লালাবাবুর সমাধির অবস্থা দেখলাম অতি শোচনীয়। একদিন অজস্র সম্পদ ধূলিমুষ্টির মত ত্যাগ করে, যে মহাপুরুষ সন্ন্যাস নিয়ে বিলাস আগার ছেড়ে, ভগবানকেই আশ্রয় করে সাধনার দুর্গম পথের চিরপথিক সেজে বেরিয়ে পড়েছিলেন–র্তার শেষ সমাধির দুৰ্গতি দেখে মনে বাস্তবিকই দুঃখ হ’ল — যদুপতে কঃ গতা: ক: গত মথুরাপুরী ? মহিমচন্দ্রের সমাধির কাছে এসে মহারাজা যে ভাবে দাড়িয়ে পড়লেন: তাতে মনে হল বৃদ্ধ পিতার বুকে এতদিনকণর জমা করা শোকের তুহীন রাশি বুঝিবা আজ সহস্র ধারায় ফেটে গলে পড়ে। অদম্য হৃদয়ের বল—মহারাজা বার কতক সমাধির দিকে স্থির নেত্রে তাকিয়ে বললেন °চল যাওয়া যাক । * অলক্ষ্যে কখন যে আবার দু'চোখ বেয়ে দু'ফোট৷ জল পড়েছে টেরও পায়নি। বড় কুমারকে দেখিনি–র্তার সম্বন্ধে বেশী কিছু জানিও না । যা কিছু শুনেছি শ্ৰীশচন্দ্রের কাছে। মনে মনে চিস্তা করতে লাগলাম এ সমবেদনার উৎস কোথায় ? কৈশর কাল থেকে কাশিমবাজার রাজপরিবারের সহিত আমার ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ— ষ্ট্রশচন্দ্রের সাহচর্য্যে সখ্যতায় নিজের মধ্যে এই লোকবিশ্রত রাজপরিবারের প্রতি এমমি একধা আত্মীয়ের ভাব আমার মধ্যে পুষ্ট হয়ে এসেছে, যার জন্ত মহিমচন্দ্র শ্রীশচন্দ্রেরই দাদা বলে আজ তার সমাধি দেখে সমবেদনায় আমার চোখেও আজ জল –হায়রে মাহুষের মন -