পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী 8 3. একটাকা নগদ, একখানি কাপড়, একসের চাউল, এক সরা চিড়ে মুড়ক, চারিখানা লুচি ও চারিটা বিভিন্ন প্রকারের সম্বেশ প্রাপ্ত হইয়া আর্ভের বন্ধুর জয়গান করিতে লাগিল ; সেবারে ভিড় এতই হইয়াছিল, যে ক্ষীণ ক্লিষ্ট পাঁচজন কাঙ্গালী মৃত্যুমুখে পতিত হয়, এবং আটজন গর্ভবতী রমণীর সন্তান ভূমিষ্ঠ হইয়া যায়। এই বিরাট ক্রিয়া উপলক্ষে অসংখ্য ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের বিদায় দেওয়ার ভার ছিল স্বৰ্গীয় বৈকুণ্ঠনাথ সেন মহাশয়ের উপর, এবং পূর্ণ-বিদায়ের পরিমাণ ছিল এক শত এক টাকা । ধৰ্ম্মে তাহার কিরূপ অশেষ ভক্তি ও অটল বিশ্বাস ছিল, তাছাও আজ নূতন করিয়া বলিবার অপেক্ষ রাখে না। গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের ভিতরে কালক্রমে যে ব্যাধি প্রবেশ করিয়াছিল তাহার প্রতিকারের নিমিত্ত সেই পরম ভাগবত আজীবন আস্তরিক চেষ্টা করিয়াছিলেন, এবং অন্ততঃ কতকাংশে যে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন, তাহা নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে। প্রতিবৎসর বৈষ্ণব সন্মিলনীর উৎসব তাহার ভবনে মহাসমারোহে সম্পন্ন হইত। মনে পড়ে, উৎসবাস্তে প্রতি বৎসর শ্ৰীশ্ৰীবিগ্রহ লইয়া তাহার বাট হইতে বিরাট শোভাযাত্রা করিয়া প্রখর আতপদগ্ধ পথে ধৰ্ম্মপ্রাণ মহারাজা নগ্নপদে, অনাবৃতমস্তকে, কত আগ্রহে, কত উৎসাহে, কেমন করিয়া সমগ্র বহরমপুর সন্থর পরিক্রম করিয়া আসিতেন । তদ্ব্যতীত, খড়দহ, শাস্তিপুর, নবদ্বীপ, শ্ৰীখণ্ড প্রভৃতি বৈষ্ণবতীর্থে বৈষ্ণব সন্মিলনীর বার্ষিক উৎসব ক্রিয়াও তিনি প্রভূত অর্থব্যয়ে সম্পন্ন করিতেন। “অধনেন। ধনং প্রাপ্য তৃণবৎ মন্ততে জগৎ" এই প্রবাদ বাক্য মহারাজার সম্বন্ধে ব্যর্থ—শতধা ব্যর্থ হইয়া গিয়াছিল । সফল যে কথাট। হইয়াছিল, তাহা “রাজবি" । জন্মাত্তরের মুকুতি যদি তাহার রাজার।