পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यहांब्रांखां छद्र भीठझछटा ननौ "ל,8:" বঙ্গীয় সাহিত্য সন্মিলনী ১৯১০ খৃঃ অবো মহারাজার কাশিমবাজারস্থিত রাজবাটীতেই প্রথম অঙ্গুষ্ঠিত হইয়াছিল । তাহা এখন প্রতি বৎসর বঙ্গদেশের নানাস্থানে অনুষ্ঠিত হইতেছে। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ গৃহের স্থান তাহারই দান। 峰 প্রসিদ্ধ বেঙ্গলী সংবাদপত্র যখন মুমুধু তখন তিনি তাঁহার একজন প্রধান স্বত্বাধিকারী হইয়া উহার জীবন রক্ষা করিয়াছিলেন । মৃতু্যকাল পৰ্য্যস্ত তিনি বেঙ্গলীর স্বত্বাধিকারী ছিলেন। তিনি এবং রায় বাহাদুর বৈকুণ্ঠনাথ সেন বেঙ্গল পটারী ওয়ার্কের সংস্থাপন কৰ্ত্তা । বাঙ্গালাদেশে চীনামাটির বাসন তৈয়ারীর সর্বপ্রকার উপাদানই আছে কিন্তু উৎসাহ ও অর্থের অভাবে বাঙ্গালা দেশের কেহই চীনামাটর দ্রব্য তৈয়ার করিতে অগ্রসর হয় নাই। বেঙ্গল পটারী ওয়ার্কস তাহার এক মহৎ কীৰ্ত্তি । বাঙ্গালা দেশের অনেক ছাত্রই গরীব । বিদ্যা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসার ও শিল্প শিক্ষা প্রদান করিলে অনেক বালক ছাত্রাবস্থাতেই উপার্জনশীল হইয়া বিদ্যাচর্চা করিতে পারে, এই উদ্দেশ্যে তিনি বাগবাজারে পলিটেকনিক স্কুল স্থাপন করিয়াছিলেন। অদ্যাবধি তাহা সুপ্রতিষ্ঠিত আছে। দেশে শ্রমশিল্পের উন্নতির জন্ত তিনি অশেষ চেষ্টা ও বহু অর্থব্যয় করিয়াছিলেন। তিনি কলিকাতায় কংগ্রেসের প্রথম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করিয়াছিলেন। বহু দেশীর কোম্পানীয় সহিত র্তাহার যোগ ছিল। তিনি গত ১৫ বৎসর যাবৎ বহরমপুর মিউনিসিপ্যালিটীর সভাপতি ছিলেন। তিনি দীর্ঘকাল বঙ্গীয় ও ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ছিলেন। নূতন শাসনতন্ত্র আরম্ভ হইলে তিনি কাউন্সিল অব ষ্টেটে বঙ্গীয় জমিদারের প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচিত হন। মহারাজের ধৰ্ম্মের প্রতি আসক্তি বিখ্যাত ধৰ্ম্মকাৰ্য্যের জন্ত তাহার দান সীমান্ত নহে। *