পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यहाँब्रांखां शुद्र भवॆौटान्छटा नमौ து. ●N○ কোমল ব্যবহারের ফলে যে র্তাহার সংস্পর্শে আসিয়াছে, সেই তাহার ব্যক্তিত্বের প্রভাবে প্রভাবান্বিত হইয়াছে। মানুষের পক্ষে ইহার অধিক মুখ্যাতির কথা আর কি হইতে পারে জানি না। রাজ্যেশ্বরের পক্ষে অনাড়ম্বর ও নিরহস্কার হওয়া যে কত বড় গুণের পরিচায়ক, তাহা বোধ হয় কাহাকেও বলিয়া দিতে হইবে না । মানুষের জীবনে ষে গুণ থাকিলে মানুষ প্রকৃত “মানুষের মত মামুষের পদবী প্রাপ্ত হয়, যে গুণলাভ জন্মজন্মার্জিত স্বকৃতির ফল, মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্রে তাহারও স্বমভাব ছিল না। অপেক্ষাকৃত দরিদ্র অবস্থায় মানুষ পরের নিকট যে উপকার প্রাপ্ত হয়, ভাগ্য পরিবর্তনের ফলে সে যখন রাজ্যেশ্বর, তখন সে উপকারের কথা প্রায়ই বিস্মৃত হয় । মহারাজকে কেহ কথনও এই অপরাধে অপরাধী করিতে পরিবেন না । তাহার প্রথম জীবনের পরিচিত কত লোক যে তাহার সৌভাগ্যোদয়কালে তাহীর দ্বারা উপকৃত হইয়াছে, তাহার ইয়ত্ত করা যায় না । যেখানে উপকারের প্রত্যুপকার করার প্রয়োজন হয় না, সেখানেও তাহার ব্যবহারের কথা শুনিলে আনন্দরসে মন আপ্লুত হয়। একটা দৃষ্টান্ত এ স্থলে অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। পরলোকগত মুনসেফ যোগেন্দ্রনাথ ঘোষ মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্রের প্রথম বয়সে গৃহশিক্ষক ছিলেন। তিনি যে সময়ে বহরমপুরের প্রথম মুনসেফের পদে সমাসীন, তখন মণীন্দ্রচন্দ্র কাশিমবাজারের রাজ্যেশ্বর হইয়াছেন। একদিন মুনসেফ বাবুর কোনও নিকটাত্মীয় যুবক র্তাহার বাসায় বৈঠকখানায় বসিয়া আছে, মুনসেফ বাবু কাছারী গিয়াছেন, এমন সময়ে একজন বিগত যৌবন ভদ্রলোক সদরে পদার্পণ করিয়া উচ্চৈস্বরে চীৎকার করিয়া ডাকিলেন, “মা, মা, আমার মা কোথায় গেলেন ? বলিয়াই উত্তরের অপেক্ষা না রাথিয়া একবারে অন্দরের দিকে অগ্রসর হইলেন। যুবক